ডিএ বৃদ্ধি (Dearness Allowance) নিয়ে আশাবাদী সরকারি কর্মীরা। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার ডিএ (West Bengal DA) বাড়িয়েছে ৪ শতাংশ। ১ জানুয়ারি থেকে তা লাগু হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরাও আশাবাদী যে, তাঁরাও বর্ধিত হাতে মহার্ঘ ভাতা পাবেন। এখন তাঁরা ৪৬ শতাংশ হারে পেয়ে থাকেন।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের আশা, এবার আরও ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে ডিএ বেড়ে হবে ৫০ শতাংশ। এমনিতে মার্চে ডিএ ঘোষণা করে থাকে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে লোকসভা নির্বাচন আছে। তা মাথায় রেখে আগেই মহার্ঘ ভাতা ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের আশা জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে এই ঘোষণা হতে পারে। কারণ, একাধিক রাজ্য সরকার লোকসভা ভোটের কথা ভেবেই ডিএ ঘোষণা করেছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ডিএ এবার ৪ থেকে ৫ শতাংশ ঘোষণা করতে পারে সরকার। যদি ৫ শতাংশ ঘোষণা করে তাহলে বেসিক পে-র উপর ৫১ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পাবেন সরকারি কর্মীরা। একই সুবিধা পাবেন পেনশনভোগীরাও।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০২৪ সালেই অষ্টম বেতন কমিশন কার্যকর হতে পারে। যদি তা হয় সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতনের বাম্পার বৃদ্ধি হবে। এছাড়াও, কর্মীদের ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরও প্রায় ৩.৬৮ গুণ বৃদ্ধি পেতে পারে। সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, কর্মচারীদের মূল বেতনও প্রায় ৪৪.৪৪ শতাংশ বাড়তে পারে। তবে অষ্টম বেতন কমিশন ঠিক কবে গঠিত হবে তা নিয়ে এখনও কোনও বিবৃতি সরকারের তরফে দেওয়া হয়নি।
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, সপ্তম বেতন কমিশন গঠনের সঙ্গে সঙ্গে সরকার মহার্ঘ ভাতা সংশোধনের নিয়ম পরিবর্তন করেছে। ৫০ শতাংশে পৌঁছলে মহার্ঘ ভাতা শূন্য হয়ে যাবে। এরপর, ডিএ-র এই পরিমাণ মূল বেতনের সঙ্গে যোগ হবে ও মহার্ঘ ভাতার হিসাব শূন্য থেকে শুরু হবে। বর্তমানে ডিএ-র পরিমাণ ৪৬ শতাংশ। আরও ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেলে তখন থেকে এটি শূন্যতে নেমে আসবে।
গত বছর রাজ্যসভায় অষ্টম বেতন কমিশন গঠন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তখন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি লিখিত উত্তরে অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের কথা ঘোষণা করেননি। তিনি জানিয়েছিলেন, 'দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সরকারি কর্মীদের বেতন এবং পেনশনারদের ভাতা দিয়ে থাকে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বেতন এবং পেনশনের ৪২ শতাংশ বাড়ানো হয়। পরে আরও ৪ শতাংশ ঘোষণা করা হয়। শিল্প শ্রমিকদের জন্য অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (AICIP-IW) এর ভিত্তিতে DA/DR-এর হার পর্যায়ক্রমে সংশোধন করা হয়।'