পাম তেল রফতানি নিষিদ্ধ করেছে ইন্দোনেশিয়া। ফলে ভারতীয় বাজারে বাড়তে চলেছে ভোজ্য তেলের দাম। শুধু তেলই নয় সাবাস, শ্যাম্পু এবং লুডলসের দাম বাড়ার আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ার পাম তেলের উৎপাদন কমে গিয়েছে। সে কারণে দাম বেড়েছে। তা ঠেকাতে ২৮ এপ্রিল থেকে পাম তেলের রফতানি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে ওই দেশ। তার সরাসরি প্রভাব পড়তে চলেছে ভারতে। কারণ পাম তেলের বৃহত্তম ব্যবহারকারী দেশ ভারত। ইন্দোনেশিয়ার পাম তেলের ৫০ শতাংশ বছরে আমদানি করে।
পাম তেল শুধু তো রান্নার কাজে নয় বিভিন্ন পণ্য ও প্রসাধনীর কাঁচা মাল। জৈব জ্বালানিতেও ব্যবহার করা হয়। হোটেল, রেস্তারাঁ এবং কেটারিং পরিষেবাতেও পাম তেল কাজে লাগে। আসলে এটিই বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত উদ্ভিজ্জ তেল। সেজন্য বিস্কুট, মার্জারিন,ডিটারজেন্ট, চকোলেট, নুডলস, সাবান, শ্যাম্পুর কাঁচা মালে ঘাটতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। তার জেরে এই সব জিনিসগুলির দামও আগুন হতে চলেছে। আর পাম তেলের দাম বাড়লে সর্ষে ও বাদাম তেলের দামও বেড়ে যাওয়ার প্রবণতাও থাকে। সুতরাং হেঁশেলের খরচ আরও বাড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার এই সিদ্ধান্তের জেরে ভোজ্য তেলের খুচরো ও পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনিতেই রান্না তেলের দর ২০১৯-২০ অর্থবর্ষ থেকে ঊর্ধ্বমুখী। তার উপরে ইউক্রেন থেকে সূর্যমুখী তেল আমদানি করা যাচ্ছে না যুদ্ধের কারণে। এবার ইন্দোনেশিয়া রফতানি বন্ধ করায় ভারতে মুদ্রাস্ফীতির উপরে আরও প্রভাব পড়বে।
এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ভোজ্য তেল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সংগঠন সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের ডিরেকটর জেনারেল বিভি মেহতা। তাঁর কথায়,'দেশের চাহিদার অর্ধেক পাম তেল ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করতে হয়। ফলে সেই ঘাটনি পূরণ করা সম্ভব নয়। প্রতিবছর ৩.৫ থেকে ৪ মিলিয়ন টন পাম তেল ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করতে হয়। বিকল্প হিসেবে মালয়েশিয়ার কথা ভাবা হলেও এই সুযোগে তারাও দাম বাড়িয়ে দেবে। তাই ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিকস্তরে এই নিষেধাজ্ঞা তোলার জন্য তদ্বির করুক সরকার।'