বিপুল আর্থিক ক্ষতির ধাক্কা সামলাতে হয়েছে গৌতম আদানি (Gautam Adani)-কে। আর তার জেরে খোয়ালেন এশিয়ার দ্বিতীয় ধনকুবেরের তালিকা। দিন কয়েক আগেও তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। এখন এক কদম পিছিয়ে হয়েছেন তৃতীয়।
মাত্র ৩ দিনে এই হাল। শেয়ার বাজারে আদানির শেয়ার মার খাওয়ার এই দিন দেখতে হচ্ছে। ৭২ ঘণ্টায় গৌতম আদানি (Gautam Adani)-র লোকসান হয়েছে ৯.৪ অর্বুদ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় তার পরিমাণ প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়র সূচক বলছে, গৌতম আদানি (Gautam Adani)-র নিট আয় শুধু বুধবার কমছে ৪ অর্বুদ ডলার। আর তারপর তা নেমে এসেছে ৬৭.৬ অর্বুদ ডলারে।
আর এ কারণে গৌতম আদানি (Gautam Adani)-কে টেক্কা দিয়েছেন চীনের শিল্পদ্যোগী ঝং শানশান (Zhong Shanshan)। এখন তিনি এশিয়ার দ্বিতীয় সবথেকে ধনী মানুষ। এর আগে তিনিই ওই জায়গায় ছিলেন।
তিনিও আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছিলেন। এশিয়ার পয়লা নম্বরের ধনী মুকেশ আম্বানিই রইলেন। সেখানে কোনও বদল হয়নি। তার নিট আয় ৮৪.৫ অর্বুদ ডলার।
সোমবার থেকে আদানির শেয়ার দাম হু হি করে কমতে থাকে। তা বজায় রয়েছে আজ, বৃহস্পতিবারও। আদানি বন্দর এবং বিশেষ আর্থিক অঞ্চল বা স্পেশাল ইকনমিক জোন (সেজ)-এর শেয়ার আজও ধাক্কা খেয়েছে।
তার দর ৮.৫ শতাংশ কমে হয়েছে ৬৪৫.৩৫ টাকা। এর পাশাপাশি আদানি ট্রান্সমিশন, আদানি পাওয়ার এবং আদানি টোটাল গ্যাসের শেয়ারের দামও কমেছে। সেগুলির প্রায় ৫ শতাংশ দাম কমেছে।
কী কারণে এই অবস্থা
সোমবার খবর চাউর হয় যে ন্যাশনাল সিকিউরিটিজ ডিপোজিট লিমিটেড (এনএসডিএল) তিন বিদেশি তহবিল 'ফ্রিজ' করে দিয়েছে। এগুলি আদানির বিভিন্ন সংস্থায় ৪৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা লগ্নি করেছে।
আর এর ফলে ধাক্কা খেয়েছে আদানির শেয়ার। সোমবার মার খেয়েছে সেগুলি। বেশির ভাগ শেয়ারের দাম কম হয়ে যায়। একই ছবি ছিল মঙ্গলবার, বুধবারও।
গত সপ্তাহের ছবি
সোমবার দুপুরে আদানির সংস্থার তরফ থেকে এ ব্যাপারে বিবৃতি জারি করা হয়। তরা দাবি করে, ওই খবর পুরোপুরি ভুল। এনএসডিএল-ও সে কথা অস্বীকার করে।