নতুন বছরের শুরু থেকেই সোনার দাম আকাশছোঁয়া। রোজই বদলে যাচ্ছে সোনার দাম। যে হারে সোনার দাম বাড়ছে, তাতে চিন্তায় সকলে। সামনেই রয়েছে বাজেট। বাজেটের পর কি সস্তা হতে পারে সোনা? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বত্র।
গ্রহরত্ন শিল্প ক্ষেত্রে জিএসটি-র হার কমানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। বর্তমানে ৩ শতাংশ GST কমিয়ে ১ শতাংশ করার দাবি রয়েছে। জিএসটি-র হার কমলে এই শিল্পের উপর আর্থিক বোঝা কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সরকার এই আবেদন মেনে নিলে স্বস্তি পাবেন গ্রাহকরাও।
অল ইন্ডিয়া জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের (জিজেসি) চেয়ারম্যান রাজেশ রোকাদে বলেছেন যে, সোনার দাম বৃদ্ধি এবং বর্তমান জিএসটি হারের কারণে শিল্প এবং গ্রাহকরা, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বলেছেন যে, কর হ্রাস গ্রাহকদের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
কাউন্সিল পরামর্শ দিয়েছে যে, প্রাকৃতিক এবং ল্যাব-উৎপাদিত হীরের উপর আলাদা GST হার প্রয়োগ করা উচিত। GJC রত্ন ও গয়না শিল্পের জন্য একটি মন্ত্রক তৈরি করতে এবং রাজ্যভিত্তিক নোডাল অফিস তৈরি করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছে।
EMI সুবিধা এবং সোনার নগদীকরণ প্রকল্পের উন্নতির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে কাউন্সিল। GJC-র ভাইস চেয়ারম্যান অবিনাশ গুপ্ত বলেছেন যে, ইএমআই সুবিধা চালু হলে, গ্রাহকদের জন্য গয়না কেনা সুবিধাজনক হবে। একই সঙ্গে সোনার মনিটাইজেশন স্কিম উন্নত করে দেশীয় বর্জ্য সোনা ব্যবহার করা যেতে পারে, যার ফলে আমদানি কমবে এবং দেশ স্বনির্ভর হবে।
এই দাবিগুলি ২০২৫ সালের বাজেটে বিবেচনা করা হবে এবং সরকার এই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ভারতে সোনার চাহিদা মেটাতে তা আমদানি করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে এর উপর শুল্ক আরোপ করা হয়। আগে সোনার উপর শুল্ক ছিল ১২.৫ শতাংশ, যা এখন ভারত সরকার কমিয়ে ১০ শতাংশ করেছে। ভারত সরকার জুলাই ২০২৪ সালের বাজেটে স্বর্ণ ও রুপোর বারে শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ করেছে।