এলআইসি আইপিও আসার সঙ্গে সঙ্গে সাড়া ফেলেছিল বাজারে। পলিসি হোল্ডার এবং সংস্থার কর্মচারীরা বিপুল বিনিয়োগও করেন। কিন্তু শেয়ার বাজারে সাড়া ফেলতে পারেনি। আইপিও-র দামের চেয়ে কমে নথিভুক্ত হয় এলআইসি। তার পর থেকে ক্রমাগত দাম কমছে। ইতিমধ্যেই বিনিয়োগকারীদের ১.৫১ লক্ষ কোটি টাকা ডুবে গিয়েছে।
এলআইসি আইপিও-র জন্য শেয়ারের দাম ৯৪৯ টাকা স্থির করেছিল সরকার। পলিসি হোল্ডার এবং কর্মচারীরা যথাক্রমে ৬০ টাকা এবং ৪৫ টাকা ছাড় পেয়েছিলেন শেয়ার। কিন্তু ১৭ মে শেয়ার বাজারে ৮৭২ টাকায় তালিকাভুক্ত হয়েছিল এই স্টক। তার পর থেকে শেয়ারের দাম (এলআইসি স্টক প্রাইস ফলিং) প্রায় ১৯ শতাংশ কমেছে।
১.৫ লক্ষের কোটির বিনিয়োগ জলে
দেশের বৃহত্তম আইপিও এনেছিল আইপিও। সেই সময় বাজার মূলধন (LIC MCap)ছিল ৬ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। শুক্রবার কোম্পানির স্টক ৭০৯.৪০ টাকায় বন্ধ হয়েছে। এর আগে এটি ৭০৮.৯০ টাকার সর্বনিম্ন দরে পৌঁছেছিল। এভাবে কোম্পানির এমক্যাপ এখন ঠেকেছে ৪.৪৮ লক্ষ কোটি টাকায়। ফলে বিনিয়োগকারীদের ১.৫১ লক্ষ কোটি টাকা ডুবিয়ে দিয়েছে এলআইসি।
'আশঙ্কা করবেন না'
এলআইসির স্টক ক্রমাগত নিম্নমুখী হলেও এতে আশঙ্কিত হওয়ার কিছু বলেই বলে দাবি সরকারের। পিটিআই-র খবর অনুযায়ী, শুক্রবার ডিআইপিএএম (DIPAM) সচিব তুহিনকান্ত পান্ডে জানান, এলআইসির শেয়ারে যে পতন দেখা যাচ্ছে তা সাময়িক। এ নিয়ে সরকার চিন্তিত। এলআইসি-র মৌলিক বিষয়গুলি বুঝতে বিনিয়োগকারীদের সময় লাগবে। LIC-এর ম্যানেজমেন্ট সব দিক খতিয়ে দেখবে। এই স্টর যাতে শেয়ার হোল্ডারদের লাভবান করতে পারে সেই চেষ্টা করা হবে।
তাঁর দাবি, মার্চের শেষে এলআইসির এমবেডেড মূল্য বুঝিয়ে দেবে শেয়ারের সঠিক মূল্য। জুনের শেষ দিকে এমবেডেড ভ্যালু প্রকাশ করতে পারে সংস্থা।
আরও পড়ুন- ১ লক্ষ টাকা হয়েছে ২৭ কোটি! বাইকের মতোই দমদার রিটার্ন বুলেট কোম্পানির