নতুন অর্থবছর শুরুর সঙ্গে সঙ্গে সুখবর। রেকর্ড GST সংগ্রহের পরিসংখ্যান দিল কেন্দ্র। মার্চে দেশের GST সংগ্রহ ছিল ১.৭৮ লক্ষ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা প্রায় ১১ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এখনও পর্যন্ত এটি কোনওএক নির্দিষ্ট মাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম জিএসটি সংগ্রহ। সোমবার অর্থ মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালের মার্চের তুলনায় ২০২৪ সালের মার্চে GST সংগ্রহ ১১.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাসিক ভিত্তিতে, এটি এখনও পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সম্পূর্ণ FY23-24 অর্থবর্ষে মোট ২০.১৪ লক্ষ কোটি টাকা GST সংগ্রহ করা হয়েছিল। এই সংখ্যা FY22-23-এর তুলনায় ১১.৭ শতাংশ বেশি।
পরিসংখ্যান বলছে, মার্চে রিফান্ডের উপর নেট GST রাজস্ব ১.৬৫ লক্ষ কোটি টাকা। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এখনও পর্যন্ত এক মাসের নিরিখে সবচেয়ে বেশি GST সংগ্রহ কত টাকার?
মার্চে যে ডেটা প্রকাশিত হয়েছে, তা এখনও পর্যন্ত দ্বিতীয় বৃহত্তম মাসিক সংগ্রহ। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মাসিক জিএসটি সংগ্রহ কত? সেটি ছিল গত বছরের এপ্রিলে। সেই সময়ে, জিএসটি-র মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে ১.৮৭ লক্ষ কোটি টাকা জমা পড়েছিল।
মার্চ ২০২৪-এ GST সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় পণ্য ও পরিষেবা কর (CGST) ৩৪,৫৩২ কোটি টাকা, রাজ্যের পণ্য ও পরিষেবা কর (SGST) ৪৩,৭৪৬ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে সমন্বিত পণ্য ও পরিষেবা কর (IGST) ৮৭,৯৪৭ কোটি টাকা (সংগৃহীত ৪০,৩২২ কোটি টাকা সহ) আমদানিকৃত পণ্যের উপর) এবং সেস-এর পরিমাণ ১২,২৫৯ কোটি টাকা (আমদানি করা পণ্যের উপর সংগৃহীত ৯৯৬ কোটি টাকা সহ)।
২০১৭ সালে জিএসটি কার্যকর হয়েছিল। পুরানো পরোক্ষ কর ব্যবস্থা প্রতিস্থাপন করে নতুন করে এটি চালু করা হয়। ১ জুলাই, ২০১৭-এ সারা দেশে এটি লাগু করা হয়। স্বাধীনতার পর এটিই দেশের সবচেয়ে বড় কর সংস্কার সংক্রান্ত পদক্ষেপ বলে মনে করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের মতে, ৬ বছর আগে কার্যকর এই জিএসটি দেশের মানুষের উপর করের বোঝা কমাতে সাহায্য করেছে। তবে জিএসটি প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের জটিলতা, রাজ্যগুলির বঞ্চনার মতো নানা অভিযোগও রয়েছে।