GST Reduction: শনিবার গ্রুপ অব মিনিস্টার্স (GoM) বৈঠকে বসে। আর সেখানে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের উপর জিএসটি হ্রাসের প্রস্তাব করে। বিশেষ করে, ২০ লিটার বা তার বেশির প্যাকেটজাত পানীয় জল এবং ১০,০০০ টাকার নিচের সাইকেলের উপর জিএসটি কমিয়ে ৫ শতাংশ করার সুপারিশ করা হয়েছে। মধ্যবিত্তের জন্য এটি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।
বিমার প্রিমিয়ামের উপর ট্যাক্স মুকুব
শনিবার অনুষ্ঠিত GoM-এর বৈঠকে স্বাস্থ্য এবং জীবন বিমার প্রিমিয়ামের উপর জিএসটি মুকুবের ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। ৫ লাখ টাকার নিচের স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়ামের উপর সাধারণ নাগরিকদের জন্য জিএসটি পুরোপুরি তুলে নেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। তবে ৫ লাখ টাকার বেশি বিমার প্রিমিয়ামে ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি বহাল থাকবে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া, মধ্যবিত্ত মানুষও যাতে বিমা করতে পারেন, তার কথা ভেবেই এই প্রস্তাব।
জিএসটি কমানোর প্রভাব এবং অন্যান্য প্রস্তাব
GoM-এর প্রস্তাবগুলি যদি জিএসটি কাউন্সিল অনুমোদন করে দেয়, সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত বেশ কিছু জিনিসের উপর করের হার কমে যাবে। এর মধ্যে রয়েছে সাইকেল, খাতা এবং প্যাকেটজাত জল।
অন্যদিকে, বিলাসবহুল সামগ্রী যেমন ২৫,০০০ টাকার উপরের হাতঘড়ি এবং ১৫,০০০ টাকার উপরের জুতোর উপর করের হার ১৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৮ শতাংশ করার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে। এর পিছনে ধারণা এটাই যে, যাঁরা এত দামি শৌখিন জিনিস ব্যবহার করেন, তাঁদের পক্ষে আরও কর দেওয়া সম্ভব। এদিকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণী, মধ্যবিত্তের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে কিছুটা কর কমানো হবে। এর মাধ্যমে একটি ভারসাম্য গড়ার চেষ্টা করা হবে।
তবে সব মিলিয়ে কিন্তু এতে সরকারের রাজস্বে ক্ষতির সম্ভাবনাই রয়েছে। তবে, GoM-এর আশা, করের পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মোট রাজস্ব প্রায় ২২,০০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি পাবে। এই আয় বিমা প্রিমিয়ামের উপর জিএসটি হ্রাসের ক্ষতিটা পুষিয়ে দেবে।
GoM-এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
এই বৈঠকের পর বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী জানান, 'প্রত্যেক GoM সদস্যই সাধারণ মানুষতে স্বস্তি দিতে চায়। বিশেষ করে, প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার দিকে নজর দেওয়া হবে। আমরা আমাদের রিপোর্ট জিএসটি কাউন্সিলে জমা দেব।'
আগামী মাসেই জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
বিলাসবহুল এবং অপরিহার্য পণ্যের উপর করের বৈষম্য
বর্তমানে, জিএসটির চারটি মূল হার রয়েছে—৫, ১২, ১৮, এবং ২৮ শতাংশ। জরুরি প্রয়োজনের জিনিসগুলিতে ন্যূনতম হারে কর ধার্য করা হয়। অন্যদিকে বিলাসবহুল এবং ক্ষতিকর পণ্যে সর্বোচ্চ কর থাকে। সেখানে ২৮ শতাংশ করের সঙ্গে অতিরিক্ত সেসও ধার্য করা হয়।
এদিকে এই সবকিছু মিলিয়ে গড় জিএসটির হার ১৫.৩ শতাংশ রাখাটাই সরকারের লক্ষ্য। কিন্তু, বর্তমানে গড় জিএসটি হার ১৫.৩ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। আর সেই কারণেই জিএসটির হার পুনর্গঠনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
সূত্র: GoM বৈঠকের রিপোর্ট