দীপাবলির আগেই সুখবর দিল ভারতের সবথেকে বড় বেসরকারি ব্যাঙ্ক HDFC। এই ব্যাঙ্কটি বর্তমানে ঋণের উপর কিছুটা সুদ কমিয়েছে। যার ফলে গ্রাহকদের টাকা বাঁচবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সবথেকে বড় প্রাইভেট ব্যাঙ্ক
দেশের সর্ববৃহৎ প্রাইভেট ব্যাঙ্ক HDFC। এটির মার্কেট ক্যাপ ১৫ লক্ষ কোটির বেশি। এটি দেশের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি কোম্পানির লিস্টেও রয়েছে। এই লিস্টে Reliance-এর পরই রয়েছে HDFC-এর নাম।
আর বর্তমানে এই ব্যাঙ্ক নিদের মার্জিনাল কস্ট অব ফান্ড বেসড লেন্ডিং রেট বা MCLR কমিয়েছে। আর এই পদক্ষেপের জন্য EMI অনেকটাই কমে যেতে পারে আশা করা হচ্ছে।
কতটা ইন্টারেস্ট রেট কমল?
এই ব্যাঙ্কের MCLR রেট ১৫ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত কমছে। তবে সবক্ষেত্রে নয় বরং ঋণ নেওয়ার সময়ের উপর ভিত্তি করেই এটা কমেছে। আগে এটা ছিল মোটামুটি ৮.৫৫ থেকে ৮.৭৫ শতাংশের মধ্যে। তবে রাতারাতি MCLR কমেছে। সেটাকে ৮.৬৫ থেকে ৮.৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এক মাসের ঋণের ক্ষেত্রে ইন্টারেস্ট নামানো হয়েছে ৮.৪০ শতাংশে।
৩ মাস ও ১ বছরের পর্যন্ত লোনের ক্ষেত্রে MCLR কমানো হয়েছে ৮.৪৫ শতাংশে। আবার লং টার্ম লোনের ক্ষেত্রে ২ বছরের জন্য ৮.৬০ শতাংশ এবং ৩ বছরের ক্ষেত্রে ৮.৬৫ শতাংশে রাখা হয়েছে MCLR।
MCLR কী?
এত কথা হচ্ছে MCLR নিয়ে। তাই এই বিষয়টা সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা থাকা জরুরি। আসলে এটা হল সেই ইন্টারেস্ট রেট, যেটা ব্যাংক গ্রাহকের থেকে ন্যূনতম নিতে পারে। এটার উপর নির্ভর করেই হোম লোন, পার্সোনাল লোন এবং কমার্শিয়াল লোনের সুদ ঠিক হয়। আর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ২০১৬ সালে এটার সঙ্গে পরিচয় করায়। এই রেটের থেকে নীচে ব্যাঙ্ক সুদ নিতে পারে না।
কী প্রভাব পড়বে গ্রাহকদের উপর?
MCLR-এ পরিবর্তন হলে সব ধরনের লোনের উপর তার সরাসরি প্রভাব পড়ে। এই রেট কমলে গ্রাহকদের লাভ হয়। তাদের মাসিক EMI কমে যায়। লাভ হবে আগামিদিনে হোম লোন, পার্সোনাল লোন বা কমার্শিয়াল লোন নিতে চাইলে।
তবে যাঁরা ইতিমধ্যেই লোন নিয়ে রেখেছেন, তাদের কতটা উপকার হবে, সেটা বলা যাচ্ছে না। তাই আপনারা অবশ্যই ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তাঁরাই সঠিক তথ্য দিতে পারবেন।