ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাঙ্ক এইচডিএফসি (HDFC) এবং বৃহত্তম হাউজিং ফিন্যান্স কোম্পানি (HDFC) ব্যাঙ্কের বিলয়ের পথ পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। সোমবার আলাদা আলাদা বৈঠকে দুই কোম্পানির পরিচালন পর্ষদ এই সংক্রান্ত প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। এখন নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির অনুমোদন বাকি। সেটা পেয়ে গেলেই ঔপচারিক বিলয় হবে দুই সংস্থার। এই অবস্থায় সবচেয়ে বড় বেসরকারি ব্যাঙ্কের কোটি কোটি গ্রাহকের মনে প্রশ্ন উঠছে, দুটি সংস্থা এক হয়ে গেলে লাভ কী হবে, আর ক্ষতিটাই বা কী! এইচডিএফসি ব্যাঙ্কে যাঁদের অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁরা কীভাবে প্রভাবিত হবেন।
এই চুক্তির অধীনে, HDFC-র শেয়ারহোল্ডাররা ২টাকার ফেস ভ্যালুর ২৫টি শেয়ারের পরিবর্তে HDFC ব্যাঙ্কের ৪২টি শেয়ার পাবেন। বিলয়ের পর এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক ১০০ শতাংশ পাবলিক শেয়ারহোল্ডিং কোম্পানিতে পরিণত হবে। দুটি সংস্থা এক হয়ে যাওয়ার পর HDFC ব্যাঙ্কে HDFCC লিমিটেডের ৪১ শতাংশ শেয়ার থাকবে। গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে HDFC লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডারদের ইক্যুইটি শেয়ার ইস্যু করবে HDFC ব্যাঙ্ক।
সংযুক্তিকরণ প্রস্তাবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল HDFC লিমিটেডের সমস্ত সহযোগী সংস্থাগুলির HDFC ব্যাঙ্কের অংশ হয়ে যাবে। এতে HDFC ব্যাঙ্ককে তাৎক্ষণিক সুবিধা দেবে। ঋণের বোঝা অনেকটা লাঘব করে দেবে। সংযুক্তিকরণের পর HDFC ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা এখন এক ছাদের নীচে অতিরিক্ত পরিষেবা পাবেন। এর মধ্যে বন্ধবী ঋণ সংক্রান্ত সুবিধাও রয়েছে।
চুক্তি করে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের সঙ্গে HDFC লিমিটেডের বিলয় ঘটছে। এতে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট রয়েছে এমন ব্যক্তিদের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না। শেয়ারহোল্ডাররাও কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা উপলব্ধ সমস্ত পরিষেবাই পাবেন। এখন অতিরিক্ত সুবিধাও মিলবে। অন্যদিকে HDFC লিমিটেডের সমস্ত গ্রাহকরা এখন সরাসরি HDFC ব্যাঙ্কের অংশ হয়ে উঠবেন।