আয়কর বাঁচানোর (Tax Saving) সিজন শুরু হয়ে গিয়েছে। আয়কর বাঁচাতে নানা অঙ্ক কষা শুরু করে দিয়েছেন। নতুন আয়কর কাঠামোয় (New Tax Regime) ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনও কর লাগবে না। পুরনো আয়কর কাঠামোয় (Old Tax Regime) ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে আয়কর ছাড়। কিন্তু যদি আপনার আয় এই সীমা পার করে যায়, তাহলে আয়কর গুনতে হবে।
ট্যাক্স স্ল্যাব অনুযায়ী জনগণকে উচ্চ আয়ের উপর কর দিতে হয়। পুরানো কর ব্যবস্থার অধীনে, আয়কর বিধি অনুযায়ী, ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ের উপর কোনও কর দিতে হবে না। ২.৫-৫ লক্ষ টাকা আয়ের উপর ৫ শতাংশ কর দেওয়ার বিধান রয়েছে। যেখানে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকার বার্ষিক আয়ের উপর ২০ শতাংশ ট্যাক্স নেওয়া হয়। ১০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি বার্ষিক আয়ের উপর ৩০ শতাংশ ট্যাক্স স্ল্যাব রয়েছে।
১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আয়ের উপরও ট্যাক্স বাঁচানো যায়
এই অনুসারে, আপনার বার্ষিক আয় যদি ১০ লক্ষ টাকা হয় তবে আপনাকে ৩০ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হবে। তবে, আপনি চাইলে এক টাকাও ট্যাক্স দিতে হবে না। শুধু তাই নয়, আপনার বেতন ১০.৫০ লক্ষ টাকা হলেও, আপনি বিনিয়োগ করে এবং ছাড়ের সুবিধা গ্রহণ করে ট্যাক্সের সম্পূর্ণ পরিমাণ বাঁচাতে পারেন।
কীভাবে ১০.৫০ লক্ষ টাকার আয়ের উপর ট্যাক্স বাঁচানো যেতে পারে?
১. স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন হিসাবে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়। এই পরিস্থিতিতে, এখন ১০ লক্ষ টাকার উপর কর ধার্য করা হবে।
২. PPF, EPF, ELSS, NSC-এর মতো স্কিমগুলিতে বিনিয়োগ করে, আপনি আয়করের ধারা 80C-এর অধীনে 1.5 লক্ষ টাকা কর বাঁচাতে পারেন৷ এখন যদি আমরা ১০ লাখ টাকা থেকে ১.৫ লাখ টাকা বিয়োগ করি তাহলে ৮.৫ লাখ টাকা করের আওতায় আসবে।
৩. একইভাবে, আপনি যদি আলাদাভাবে ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (NPS) এ বার্ষিক ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করেন, তাহলে ধারা 80CCD (1B) এর অধীনে আপনি অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা আয়কর সংরক্ষণে সহায়তা পান। এখন ৫০ হাজার টাকা বিয়োগ করলে ৮ লাখ টাকা করের আওতায় আসবে।
৪. যদি একটি হোম লোনও নেওয়া হয়, তাহলে আয়করের ধারা 24B এর অধীনে তার সুদের উপর ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর সাশ্রয় করা যেতে পারে। আপনি যদি ৮ লক্ষ টাকা থেকে আরও ২ লক্ষ টাকা বিয়োগ করেন, তাহলে মোট কর আয় হবে ৬ লক্ষ টাকা।
৫. আয়করের ধারা 80D এর অধীনে একটি চিকিৎসা নীতি গ্রহণ করে, আপনি ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কর বাঁচাতে পারেন। এই স্বাস্থ্যবিমায় আপনার নাম, আপনার স্ত্রী এবং সন্তানদের নাম থাকতে হবে। এছাড়াও, আপনি যদি আপনার পিতামাতার নামে স্বাস্থ্যবিমা কিনে থাকেন তবে আপনি ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ছাড় পেতে পারেন। এই ক্ষেত্রে, যদি আমরা ৬ লাখ টাকা থেকে ৭৫ হাজার বিয়োগ করি, তাহলে মোট কর দায় হবে ৫.২৫ লাখ টাকা।
৬. আপনি যদি কোনও সংস্থাকে দান করেন তবে আপনি ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কর সুবিধা পেতে পারেন৷ আয়করের ধারা 80G এর অধীনে, আপনি দান হিসাবে প্রদত্ত পরিমাণের উপর ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কর ছাড় দাবি করতে পারেন। ২৫ হাজার টাকা কেটে নেওয়ার পরে, আপনার আয় এখন ৫ লাখ টাকার ট্যাক্স স্ল্যাবে আসবে। আয়করের নিয়ম অনুসারে, ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর পুরনো কর ব্যবস্থার অধীনে কোনও কর দিতে হবে না।