আগামী অর্থবছরের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা প্রথম তিন মাসের জন্য এই বাজেট পেশ হবে। লোকসভা নির্বাচন এবং নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট বৈধ থাকবে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, লোকসভা ভোটের আগে মধ্যবিত্তের জন্য একাধিক ঘোষণা থাকতে পারে। বিশেষ করে আয়করের ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো হতে পারে।
কী কী প্রত্যাশা করছে সাধারণ মানুষ?
মধ্যবিত্তের অন্যতম দাবি, কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো। যেহেতু নানা জিনিসের দাম বেড়েছে তাই অর্থনীতিবিদদের একাংশের আশা, মধ্যবিত্তের আর্থিক বোঝা কমাতে পারে মোদী সরকার। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি অন্তর্বর্তী বাজেট হলেও এতে পূর্ণ-বাজেটের জন্য কিছু ইঙ্গিত থাকতে পারে। ধারা 87A এর অধীনে ইনডিভিজুয়াল করদাতাদের কিছু ছাড় দেওয়া যেতে পারে। এর আওতায় মোট কর ছাড়ের সীমা ৭ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮ লাখ টাকা করা যেতে পারে।
এ বার বাজেটে মূলত মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীদের সুরাহা দিতে এখন পুরনো কর-কাঠামোয় যে আড়াই লক্ষ টাকা আয়ের উপর থেকে সর্বনিম্ন হারে আয়কর প্রযোজ্য হয়, তা ৫০ হাজার বাড়িয়ে ৩ লক্ষ টাকা করার ভাবনা রয়েছে। এতে বছরে ১,২৫০ টাকা কর কম দিতে হবে। মোট সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনও কর দিতে হবে না।
বর্তমানে, কেন্দ্র ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমে (NPS) ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অবদানের পরে ধারা 80CCD (1B) এর অধীনে নতুন কর ব্যবস্থা বেছে নেওয়া করদাতাদের অনুমতি দেয় না। এটি শুধুমাত্র পুরানো ট্যাক্স শাসনের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
Tata পেনশন ম্যানেজমেন্টের সিইও কুরিয়ান জোস এই প্রসঙ্গে জানান, নতুন ট্যাক্স ব্যবস্থার অধীনে সেকশন 80CCD(1B) এর NPS-এর অধীনে অনুমোদিত ৫০ হাজার টাকা কাটছাঁট তুলে নেওয়া হয়েছিল। এপ্রিল ১, 2023, FY25 এর বাজেটে তা ফিরিয়ে আনা উচিত। আরও এক ধাপ এগিয়ে তিনি জানান, উভয় কর ব্যবস্থার অধীনে এই সীমা ১ লাখ টাকায় উন্নীত করা উচিত।
গুড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (GST) এর যৌক্তিককরণ এবং বার্ষিকের উপর কর-বিরতি জীবন বীমা শিল্পের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ১৮ শতাংশ GST-র বিষয়টি ভেবে দেখা দরকার সরকারের। বর্তমান GST হারের পুনঃমূল্যায়ন করা উচিত যাতে বীমা পণ্যের মূল্য নির্ধারণের সুবিধা শেষ ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।
অর্থনীতিবিদদের আশা, অর্থমন্ত্রী বিমা নীতিগুলিতে GST থেকে ছাড় দেবেন। এতে বিমার প্রিমিয়াম কমবে। এই পদক্ষেপটি বিমার সামর্থ্য বৃদ্ধি করবে এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে সমস্ত ভারতীয়দের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিমা নিয়ে যে লক্ষ্য তা পূরণে সাহায্য করবে।