Advertisement

ট্রাম্পের শুল্ক চাপে 'নো টেনশন', ২০৩৮ সালের মধ্যেই ভারত এই কাজটি করবে

EY ইন্ডিয়া বলেছে যে ভারত সমস্ত চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেছে এবং বিশ্বের পাঁচটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে। দেশ একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি নিয়ে দ্রুত এগিয়ে চলেছে। শুল্ক চাপ এবং ধীর বাণিজ্যের মতো বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও অভ্যন্তরীণ চাহিদার উপর নির্ভরতা এবং আধুনিক প্রযুক্তিতে ক্রমবর্ধমান সক্ষমতার কারণে ভারতীয় অর্থনীতি শক্তিশালী রয়েছে।

ট্রাম্পের শুল্ক চাপে 'নো টেনশন', ২০৩৮ সালের মধ্যেই ভারত এই কাজটি করবেট্রাম্পের শুল্ক চাপে 'নো টেনশন', ২০৩৮ সালের মধ্যেই ভারত এই কাজটি করবে
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 28 Aug 2025,
  • अपडेटेड 2:38 PM IST
  • ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের অর্থনীতি ২০.৭ ট্রিলিয়ন ডলারে (PPP) পৌঁছতে পারে
  • ২৭ অগাস্ট থেকে ভারতের উপর আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হয়েছে

যদিও আমেরিকা ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, তবুও ভারতীয় অর্থনীতির গতিএই ধরণের কোনও বাধার দ্বারা প্রভাবিত হবে না। আমরা এটি বলছি না, তবে EY ইন্ডিয়ার রিপোর্টে এই অনুমান করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে ভারত ২০৩৮ সালের মধ্যে ৩৪.২ ট্রিলিয়ন ডলারের গ্রস ডোমেস্টিক প্রডাক্ট (PPP) নিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে পারে। EY অর্থনীতি ২০২৫ সালের অগাস্টের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে শুল্ক চাপ এবং বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও ভারত এগিয়ে যাবে।

শুল্ক চাপ সত্ত্বেও, অর্থনীতি শক্তিশালী

EY ইন্ডিয়া বলেছে যে ভারত সমস্ত চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেছে এবং বিশ্বের পাঁচটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে। দেশ একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি নিয়ে দ্রুত এগিয়ে চলেছে। শুল্ক চাপ এবং ধীর বাণিজ্যের মতো বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও অভ্যন্তরীণ চাহিদার উপর নির্ভরতা এবং আধুনিক প্রযুক্তিতে ক্রমবর্ধমান সক্ষমতার কারণে ভারতীয় অর্থনীতি শক্তিশালী রয়েছে।

আরও পড়ুন

প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে যে আগামী পাঁচ বছরে অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের অর্থনীতি ২০.৭ ট্রিলিয়ন ডলারে (PPP) পৌঁছতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন, জার্মানি এবং জাপানের তুলনায় ভাল অবস্থানে রয়েছে ভারতের অর্থনীতি। যদিও চিন ২০৩০ সালের মধ্যে ৪২.২ ট্রিলিয়ন ডলারের আনুমানিক জিডিপি (পিপিপি) নিয়ে অর্থনীতির দৌড়ে এগিয়ে থাকতে পারে। কিন্তু অন্যদিকে, এর বয়স্ক জনসংখ্যা এবং ক্রমবর্ধমান ঋণ অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।

২৭ অগাস্ট থেকে ভারতের উপর আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হয়েছে, যা ভারতের রফতানিতে প্রভাব ফেলবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই শুল্ক আরোপ করেছেন। বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন যে এই নতুন শুল্ক ভারতের উন্নয়নের সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করবে। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (GTRI) অনুসারে, মার্কিন শুল্কের ফলে ভারতীয় রফতানিতে ৬০.২ বিলিয়ন ডলারের প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। টেক্সটাইল, রত্ন ও গয়না, চিংড়ি, কার্পেট এবং আসবাবপত্রের মতো খাতে রফতানি ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

Advertisement

তবে, ভারতও বসে নেই। মার্কিন শুল্কের কারণে টেক্সটাইল সেক্টর প্রথমে ও সবচেয়ে বড় সঙ্কটে পড়তে চলেছে, কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। যার মধ্যে ২৫ শতাংশ জরিমানা হিসেবে। আমেরিকার এই সিদ্ধান্তকে একতরফা এবং অন্যায্য বলে অভিহিত করেছে  ভারত। এর পাশাপাশি, ভারত অন্যান্য বিকল্পগুলিও বিবেচনা শুরু করেছে, যাতে শুল্কের প্রভাব কমানো যায়। প্রকৃতপক্ষে, ভারতের বিপুল সংখ্যক মানুষ টেক্সটাইল সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত, যার কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষের চাকরি হুমকির মুখে। কারণ শুল্কের কারণে আমেরিকা থেকে পোশাকের চাহিদা কমতে চলেছে। যদি অর্ডার কমে যায়, তাহলে এর প্রভাব উৎপাদনের উপর দেখা যাবে, যার সরাসরি প্রভাব কর্মসংস্থানের উপর পড়বে। অতএব, এখন ভারত সরকার মার্কিন বাজারের বিকল্প হিসেবে প্রায় ৪০টি অন্যান্য বাজারে অর্থাৎ অন্যান্য দেশে পোশাক রফতানির কথা বিবেচনা করছে। বুধবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ভারত তার টেক্সটাইল শিল্পকে ব্রিটেন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া-সহ ৪০টি প্রধান বাজারে ঢোকানোর পরিকল্পনা করছে। যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপানো ৫০ শতাংশ শাস্তিমূলক আমদানি শুল্কের প্রভাব কমানো যায়।
 

Read more!
Advertisement
Advertisement