আর ক'দিন পরে এলআইসি আইপিও-তে বিনিয়োগ করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। ইদের ছুটির পর ৪ মে, বুধবার বাজারে আসছে বহু প্রতীক্ষিত আইপিও। তবে সোমবার শুরু হচ্ছে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বুকিং। এদিকে গ্রে মার্কেটে এলআইসি-র স্টক পাঁচ দিনে ৬ গুণ বেড়ে গিয়েছে। আইপিও আসার আগেই মালামাল হয়ে গিয়েছেন বহু বিনিয়োগকারী।
দুনিয়ার বড় বড় আর্থিক সংস্থাগুলিকে অ্যাঙ্কর ইনভেস্টর হিসেবে বিনিয়োগের আহ্বান করেছে সরকার। শেয়ারের ৫০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য রাখা হয়েছে। বড় বিনিয়োগকারীরা ১৫ শতাংশ কিনতে পারবেন। আর খুচরো বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ ৩৫ শতাংশ। সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করা হয়েছে আবুধাবি ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি, সিঙ্গাপুর জিআইসি, কাতার ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি এবং কানাডার তিনটি পেনশন ফান্ডের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, ৫০ থেকে ৬০ বড় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীকে বাছাই করেছে কেন্দ্র। এর মধ্যে ব্ল্যাকরক, স্যান্ডস ক্য়াপিটাল, ফিডেলিটি ইনভেস্টমেন্টের মতো সংস্থাগুলিও রয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, ১৩ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। যা শেয়ারের দামের দ্বিগুণ।
এদিকে এলআইসি আইপিও যে বাম্পার কামিয়ে দেবে তার ইঙ্গিত এখন থেকে মিলছে। গ্রে মার্কেটে সংস্থার শেয়ারের প্রিমিয়াম এক সপ্তাহে ৬ গুণ বেড়েছে। গত ২৩ এপ্রিল ১৫ টাকা প্রিমিয়াম ছিল। ২৬ এপ্রিল আইপিও-র আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে এলআইসি। ওই দিন প্রিমিয়াম ছিল ২৫ টাকা। আর ৩০ এপ্রিল তা বেড়ে হয়েছে ৯০ টাকা। অর্থাৎ ২৩ থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ৬ গুণ বেড়ে গিয়েছে প্রিমিয়াম। সোমবারে ৭৫ টাকায় বিকোচ্ছে এলআইসি-র শেয়ার। যা সংকেত দিচ্ছে, এলআইসি আসার পর বিরাট রিটার্ন পাবেন বিনিয়োগকারীরা।
বলে রাখি, এলআইসি-ই হতে চলেছে দেশের বৃহত্তম আইপিও৷ সরকার কোম্পানির ৩.৫% শেয়ার বিক্রি করে ২১ হাজার কোটি বাজার থেকে আয়ের লক্ষ্য নিয়েছে। প্রথমে ৫ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল। শেয়ারপিছু দাম ৯০২-৯৪৯ টাকা। ৪ মে থেকে আবেদন করতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। ৯ মে শেষ তারিখ। ১৭ মে শেয়ার বাজারে শুরু হবে এলআইসি-র পথচলা।
আরও পড়ুন- এক-দু'বার নয় চাইলে তিনবার ডিসকাউন্টে নিতে পারবেন LIC IPO