NPS-এর টাকা তোলা বা উইথড্র সংক্রান্ত নিয়মে বদল এল। পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (PFRDA) ন্যাশনাাল পেনশল সিস্টেমের অধীনে এই নিয়ম বদল করেছে। নয়া নিয়মে বদলে গেল পেনশন উইথড্রর প্রক্রিয়া। যা ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ থেকেই কার্যকর হবে। PFRDA-এর মতে, NPS-এর নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে আর কোনও NPS অ্যাকাউন্টধারী ২৫ শতাংশের বেশি টাকা তুলতে পারবেন না।
সাধারণত নিয়ম হল, NPS গ্রাহকরা বিনিয়োগের সময়কালে তিনবারমাত্র টাকা উইথড্র করতে পারেন। সেক্ষেত্রে গ্রাহকদের কমপক্ষে তিন বছরের জন্য এই অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করা উচিত। অর্থাৎ, অ্যাকাউন্টে যে টাকা আছে তার ২৫ শতাংশ তিন বছর পর যে কোনও সময় উইথড্র করা যাবে। শিশুর শিক্ষা, বিয়ে, বাড়ি নির্মাণ, চিকিৎসা বা অন্য কোনও জরুরি প্রয়োজনে সেই টাকা তোলা যাবে।
- কখন আংশিকভাবে টাকা উইথড্র করা যাবে?
- গ্রাহক যদি সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য ব্যয় করতে চান, তাহলে সেই টাকা উইথড্র করা যাবে।
- সন্তানদের বিয়ের জন্যও এই পরিমাণ টাকা তোলা যাবে।
- বাড়ি কেনা, গৃহ ঋণ পরিশোধের জন্য টাকা তুলতে পারবেন।
- গুরুতর অসুস্থতা, চিকিৎসার ক্ষেত্রেও টাকা উইথড্র করা যাবে।
- যে কোন জরুরি পরিস্থিতিতেও ২৫ শতাংশ পর্যন্ত টাকা তোলা যাবে।
- যে কোনও ধরনের ব্যবসা বা স্টার্টআপ শুরু করতেও এই পরিমাণ ব্যবহার করা যেতে পারে।
টাকা তোলার অন্য শর্তাবলীও রয়েছে। সেগুলো কী কী ?
- গ্রাহককে অ্যাকাউন্ট খোলার পর থেকে তিন বছরের জন্য সদস্য হতে হবে।
- এই অ্যাকাউন্ট থেকে ২৫ শতাংশের বেশি টাকা তোলা যাবে না।
- NPS অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের অ্যাকাউন্ট থেকে আংশিক টাকা তোলার অনুমতি দেওয়া হয় সর্বোচ্চ তিনবার।
কীভাবে টাকা তোলা যাবে?
- যদি NPS-এর অধীনে ২৫ শতাংশ বা তার কম পরিমাণ প্রত্যাহার করতে হয়, তাহলে সেন্ট্রাল রেকর্ডকিপিং এজেন্সি (CRA) এর প্রতিনিধি সরকারী নোডাল অফিসারের মাধ্যমে টাকা তোলার অনুরোধ করতে পারেন।
- টাকা তোলার কারণ ও অন্যান্য বিবরণ দিতে হবে। গ্রাহক অসুস্থ হলে তার জায়গায় পরিবারের কোনও সদস্য বা মনোনীত ব্যক্তি এই অনুরোধ করতে পারেন।
- প্রসঙ্গত, পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (PFRDA) অনুসারে, ৬০ বছর বয়সের (অবসর নেওয়ার) পর, NPS থেকে একবারে মোট ম্যাচিউরিটি পরিমাণের ৬০ শতাংশ টাকা উইথড্র করার অনুমতি দেওয়া হয় , আর তা করমুক্ত। বাকি ৪০ শতাংশ মেয়াদপূর্তিতে গ্রাহককে একটি বার্ষিক পরিকল্পনায় বিনিয়োগ করতে হয়। যেখান থেকে তিনি পেনশন পান। অ্যানুইটিতে বিনিয়োগ করা টাকা করমুক্ত, তবে বার্ষিকের অধীনে রিটার্ন হিসাবে প্রাপ্ত পেনশনের পরিমাণের উপর কোনও কর ছাড় নেই।
- এর অর্থ হল রিটার্ন হিসাবে প্রাপ্ত পেনশন, বিনিয়োগকারীর বার্ষিক আয়ের সঙ্গে যোগ করা হয়। সেক্ষেত্রে করদাতাকে স্ল্যাব অনুযায়ী কর দিতে হয়। অবসর নেওয়ার পর, মোট কর্পাস যদি ৫ লক্ষ টাকার সমান বা তার কম হয়, তবে NPS গ্রাহকরা পুরো অর্থ উইথড্র করতে পারবেন।
-
NPS কী? NPS (ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম) হল একটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ পরিকল্পনা। অবসর গ্রহণের পরও যেন নিয়মিত আয় থাকে সেই কথা মাথায় রেখেই এই স্কিম চালু করা হয়েছে। এটি সরকার দ্বারা পরিচালিত একটি অবদানমূলক পেনশন প্রকল্প। এনপিএস-এ টাকা জমা করার পরে, অবসর গ্রহণের সময় একমুহূর্তে একটি বিশাল অবসর তহবিল পাওয়া যায়। এর সঙ্গে, আপনি মাসিক পেনশন পাবেন। ন্যাশনাল পেনশন স্কিম (NPS) ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে চালু হয়েছিল। আগে শুধুমাত্র সরকারি কর্মীরা এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারতেন। কিন্তু ২০০৯ সালে এটি সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়। অর্থাৎ সবাই এই স্কিমের সুবিধা নিতে পারবে।