শেয়ার ব্যবসা ঝুঁকির। বিশেষ করে লকডাউন পরবর্তী সময়ে বাজার দেখেছে বিস্তর উত্থান-পতন। এর মধ্যেই বিনিয়োগকারীদের ভাগ্য উজ্জ্বল করেছে বেশ কয়েকটি শেয়ার। তেমনই একটি স্টক মালামাল করে দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের। মাত্র সাড়ে চার টাকার স্টক যা রিটার্ন দিয়েছে তা কল্পনাতীত। ১ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ পৌঁছে গিয়েছে ১০ কোটিতে। দীর্ঘমেয়াদে যাঁরা টাকা রেখেছিলেন তাঁরা কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন।
স্টক মার্কেটে একাধিক শেয়ার দীর্ঘমেয়াদে টাকা রাখলে লাভ মেলে। সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে বজাজ ফিন্যান্সের শেয়ার। এই শেয়ার বিনিয়োগকারীদের কোটিপতি করে দিয়েছে। বর্তমানে এই স্টক ৫২ সপ্তাহের সর্বোচ্চ দরের অনেক নীচে রয়েছে। কিন্তু গত ২০ বছরের মেয়াদ ধরলে এটি বিনিয়োগকারীদের প্রায় ১,০২,০০০ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে।
বিশ বছর আগে ২০০২ সালের ২৩ অগাস্ট বজাজ ফিন্যান্সের শেয়ারের মূল্য ছিল মাত্র ৪.৬১ টাকা। বুধবার এই শেয়ারের দাম ছিল ৫,৮৮০.৫০ টাকা। যা ৫২ সপ্তাহের সর্বোচ্চ ৮,০৪৫ টাকা থেকে অনেকটাই কম। ২০০২ সালে কোনও বিনিয়োগকারী বজাজ ফিন্যান্সের শেয়ারে ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতেন তাহলে সেই বিনিয়োগের পরিমাণ আজ হত ১০ কোটি টাকার বেশি।
২০০২ সালের ২৩ অগাস্ট বজাজ ফিন্যান্সের শেয়ারের দাম ছিল ৪.৬১ টাকা। যা ২০০৫ সালের ২০ জানুয়ারি পৌঁছেছিল ১১.৬৬ টাকায়। ২০০৮ সালের ৪ জানুয়ারি শেয়ারের দর ছিল ৫০.৫০ টাকা। তিন বছর পর ১৪ জানুয়ারি, ২০১১ সালে ৬৪ টাকা হয়েছিল। ২০১৪ সালের ১০ জানুয়ারি স্টকের দাম ছিল ১৬৫ টাকা। তার পর রকেট গতিতে উত্থান।
২০১৪ সালের পর তিন বছরে ২০১৭ সালের ৬ জানুয়ারি দাম দাঁড়ায় ৮৭৮ টাকা। তার তিন বছর পর ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৪,১৪৪ টাকা। এ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সর্বকালের সর্বোচ্চ স্তর স্পর্শ করে। যদিও ২০২৩ সালে দাম কমে গিয়েছে। ৫২ সপ্তাহে সর্বনিম্ন দামে লেনদেন চলছে স্টকের।
প্রায় ৩.৫৬ লক্ষ কোটি টাকার মার্কেট ক্যাপ এই কোম্পানির। ২০ বছরে তার বিনিয়োগকারীদের কোটিপতি করেছে। খালি গত পাঁচ বছরেই ২৩৩ শতাংশেরও বেশি রিটার্ন দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও এই স্টক কিনলে লাভ করতে পারবেন। এই স্টক পৌঁছতে পারে ৫,৬০০-৫,৭০০ টাকার কাছাকাছি।