Advertisement

মধ্যমগ্রাম, সোদপুরে নতুন নামে D Bapi Biriyani, হঠাৎ কী হল?

ডি বাপির বিরিয়ানি ব্যারাকপুর তো বটেই, গোটা রাজ্যে দারুণ বিখ্যাত। তবে সেই বিরিয়ানির দোকান এবার দু'ভাগে ভাগ হয়ে গেল। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মধ্যমগ্রামের ‘ডি বাপি বিরিয়ানি’ ঘিরে তৈরি হয়েছে জটিলতা, ভাগ হয়ে নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করল অনির্বাণ বিরিয়ানি অ্যান্ড ক্যাটারার। গুণগত মান একটুও বদলাবে না বলে দাবি অনির্বাণের।

ডি বাপির বিরিয়ানিডি বাপির বিরিয়ানি
Aajtak Bangla
  • ব্যারাকপুর,
  • 15 Nov 2025,
  • अपडेटेड 5:42 PM IST

ডি বাপির বিরিয়ানি ব্যারাকপুর তো বটেই, গোটা রাজ্যে দারুণ বিখ্যাত। তবে সেই বিরিয়ানির দোকান এবার দু'ভাগে ভাগ হয়ে গেল। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মধ্যমগ্রামের ‘ডি বাপি বিরিয়ানি’ ঘিরে তৈরি হয়েছে জটিলতা, ভাগ হয়ে নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করল অনির্বাণ বিরিয়ানি অ্যান্ড ক্যাটারার। গুণগত মান একটুও বদলাবে না বলে দাবি অনির্বাণের। 

ডি বাপির বিরিয়ানি দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছেন বাপি দাস ও ডলি দাস। ফুটপাথের ধারে দোকান থেকে ধীরে ধীরে উঠে এসে একের পর এক রেস্তোরাঁ বানিয়েছেন এই জুটি। মধ্যমগ্রামের ‘ডি বাপি বিরিয়ানি’ দোকানটি এবার থেকে আত্মপ্রকাশ করছে নতুন এই নামে। অনির্বাণ বিরিয়ানি অ্যান্ড ক্যাটারার। অনির্বাণ দাসের দাবি, গ্রাহকদের ভালবাসা ও আস্থা ধরে রাখতেই নতুন ব্র্যান্ডের সূচনা করা হয়েছে। গুণগত মান, স্বাদ কোনোভাবেই কমবে না, বরং আরও উন্নত হবে।

অনির্বাণ বিরিয়ানি অ্যান্ড ক্যাটারার্স এর মধ্যমগ্রাম-সহ তিনটি শাখা রয়েছে বলেই জানিয়ে দেন অনির্বাণ দাস। অন্যদিকে, পুরনো ব্র্যান্ড ‘ডি বাপি বিরিয়ানি’-এর শাখাগুলি ব্যারাকপুর ও বারাসাতের ময়নায় পূর্বের মতোই চালু থাকবে বলে জানান দোকান মালিক।

অনির্বাণ দাস

কীভাবে চালু হয় ডি বাপির বিরিয়ানি?
২০০৬ সালে ব্যারাকপুরে ডলি দাস ও বাপি দাস 'ডি বাপি বিরিয়ানি' নামে তারা ব্যবসা শুরু করেন। সেটা ছিল ফুটপাতের ধারে। কম দামে সেরা মানের বিরিয়ানি সরবরাহ করার লক্ষ্য নিয়ে একটি ব্র্যান্ড তৈরি করে। এই যাত্রা শুরু হয়েছিল তাদের কঠোর পরিশ্রম, আবেগ এবং দুই দশকের চেষ্টার মাধ্যমে। 

কী নিয়ে শুরু হল এই ঝামেলা?
দোকানের নাম ও ব্র্যান্ডের অধিকার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কিছু মতভেদ সৃষ্টি হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। স্থানীয়ভাবে ‘ডি বাপি বিরিয়ানি’ নামেই জনপ্রিয় এই প্রতিষ্ঠান এখন তাই দুই ভিন্ন নামে পরিচালিত হওয়ায় সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যেও কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, ব্যবসা সংক্রান্ত সমস্যার কারণেই বাবা ও ছেলের মধ্যে তৈরি হয় জটিলতা, যা পৌঁছয় আদালত পর্যন্ত। এরপর আদালতের নির্দেশেই মধ্যমগ্রামের ডি বাপির বিরিয়ানি ব্র্যান্ড ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। আর তার পরই অনির্বাণ নিজের নামে রেস্তোরাঁ খোলার পরিকল্পনা করেন।

Advertisement

সাধারণ মানুষের মধ্যে এই বিরিয়ানির দোকান নিয়ে প্রাথমিক ভাবে বিভ্রান্তি তৈরি হলেও, দুই রেস্তোরাঁর মালিকদেরই আশা, নাম নয় খাবারের গুণমানই ফের খাদ্যরসিক বাঙ্গালিকে তাঁদের দোকানে নিয়ে আসবে।

Read more!
Advertisement
Advertisement