নতুন আয়কর বিলের একটি বিধান নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ওই বিধানে বলা হয়েছে, আয়কর আধিকারিকরা চাইলে তদন্তের সময় ইমেল, ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল এবং আরও অনেক কিছু খতিয়ে দেখতে পারেন। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কিছুদিন আগেই সংসদে নতুন আয়কর বিল পেশ করেছেন। এই নতুন বিল আইনে পরিণত হলে ছয় দশকের পুরনো আইনের বদল হবে। বিলটিকে বর্তমানে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। মূল উদ্বেগ হল এই বিলের একটি ধারা, যেখানে ভার্চুয়াল ডিজিটাল স্পেস-র বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যা তল্লাশির চেয়েও আরও বেশি কিছু করার ক্ষমতা দেয় তদন্তকারীদের।
এই মুহূর্তে, তদন্তকারীরা কোনও ব্যক্তির ল্যাপটপ, হার্ড ড্রাইভ এবং ইমেল অ্যাক্সেস চাইতে পারেন, কিন্তু যেহেতু বর্তমান কর আইনে স্পষ্টভাবে ডিজিটাল রেকর্ডের উল্লেখ নেই, তাই এই ধরনের দাবিগুলি প্রায়শই আইনি বাধার সম্মুখীন হয়। তবে, নতুন বিলে স্পষ্ট করা হয়েছে যে আয়কর বিভাগ ডিজিটাল সম্পদে অ্যাক্সেস পাওয়ার দাবি করতে পারে। যদি কোনও করদাতা দাবি না মানেন তাহলে আয়কর বিভাগ পাসওয়ার্ড বাইপাস করতে, সিকিউরিটি সেটিংস ওভাররাইড করতে এবং ফাইল আনলক করতে পারবে।
নতুন আয়কর বিলের ২৪৭ ধারা অনুসারে আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা চাইলে ২০২৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে আপনার ইমেল, সোশ্যাল মিডিয়া, ব্যাঙ্কের ডিটেলস এবং বিনিয়োগ অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস পাওয়ার অধিকার পাবেন। যদি তাঁরা কর ফাঁকি বা সঙ্গতিহীন সম্পদ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।
আইন বিশেষজ্ঞরা বিলের এই ধারা নিয়ে মোটেও খুশি নন। অনেকেই মনে করছেন যে কঠোর সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া এই নতুন ক্ষমতা হয়রানি বাড়াতে পারে। ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ্য়ে চলে আসতে পারে।