Advertisement

কেন্দ্রের নতুন পেনশন স্কিম নিয়ে কেন রাজনৈতিক বিতর্ক, কী রয়েছে এই স্কিমে?

গত ২০০৪ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার নয়া পেনশন স্কিম আনার সময় যোজনা কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়া। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় কথা, যে রাজ্য দুটি পুরনো পেনশন স্কিমের দিকে এগোচ্ছে সেই দুটিই কংগ্রেস শাসিত। সেগুলি হল ছত্তীসগঢ় ও রাজস্থান। এছাড়া তৃতীয় যে রাজ্য ওই পথে এগিয়েছে, সেটি হল ঝাড়খন্ড। সেখানেও জোট সরকারে রয়েছে কংগ্রেসে। এছাড়া হিমাচলেও একই পথে এগোচ্ছে হাত শিবির। এমনকী মধ্যপ্রদেশ ও কর্ণাটকের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেও এই দাবি জোড়ালো হচ্ছে। 

প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 10 Jan 2023,
  • अपडेटेड 5:15 PM IST
  • দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পুরনো পেনশন স্কিম ফেরানোর দাবি
  • অনেক রাজ্যেই চলছে বিক্ষোভ
  • আশঙ্কায় অর্থনীতিবিদেরা

পুরনো পেনশন স্কিম নিয়ে সম্প্রতি সরগরম দেশের একাধিক রাজ্যের রাজনীতি। এরইমাঝে দিন কয়েক আগে এই প্রসঙ্গে এক তাৎপর্যপূর্ণ বিবৃতি দেন যোজনা কমিশনের প্রাক্তন প্রধান মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়া। এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের উপস্থিতিতে তিনি বলেন, 'কিছু রাজ্য সরকার পুরনো পেনশন স্কিম পুনরায় চালু করলে তা হবে তা হবে আর্থিকভাবে দেউলিয়া হওয়ার একটা রেসিপি।' এটি 'অযৌক্তিক' বলেও মনে করেন তিনি। আলুওয়ালিয়া বলেন, 'যাঁরা এই পদক্ষেপের গিকে এগিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের জন্য বড় সুবিধা হল, ১০ বছর পর দেউলিয়া হবেন।' তাঁর মতে, 'আর্থিক বিপর্যয়ের দিকে যেতে পারে এমন নীতি গ্রহণ করা থেকে রাজনৈতিক দল বা শাসকদলের দলগুলিকে বিরত থাকতে হবে৷'  

গত ২০০৪ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার নয়া পেনশন স্কিম আনার সময় যোজনা কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়া। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় কথা, যে রাজ্য দুটি পুরনো পেনশন স্কিমের দিকে এগোচ্ছে সেই দুটিই কংগ্রেস শাসিত। সেগুলি হল ছত্তীসগঢ় ও রাজস্থান। এছাড়া তৃতীয় যে রাজ্য ওই পথে এগিয়েছে, সেটি হল ঝাড়খন্ড। সেখানেও জোট সরকারে রয়েছে কংগ্রেসে। এছাড়া হিমাচলেও একই পথে এগোচ্ছে হাত শিবির। এমনকী মধ্যপ্রদেশ ও কর্ণাটকের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেও এই দাবি জোড়ালো হচ্ছে। 

পুরনো পেনশন স্কিম বনাম নয়া পেনশন স্কিম
২০০৪ সালের পয়লা এপ্রিল বন্ধ হয়ে যায় পুরনো পেনশন স্কিম। তার পরিবর্তে নয়া পেনশন স্কিম চালু হয়। সেই ২০০৪ সাল থেকেই সরকারী কর্মীরা নয়া পেনশন স্কিমের আওতায় আসেন। নয়া স্কিমটি একটি অবসরকালীন পেনশন তহবিল প্রদান করে যা রিডেম্পশানের পর ৬০ শতাংশ করমুক্ত। বাকি ৪০ শতাংশ ১০০ শতাংশ করযোগ্য অ্যানুইটিতে বিনিয়োগ করতে হয়৷

নয়া এই পেনশন স্কিম নিয়ে দেশের সরকারি কর্মচারীদের একটা অংশ ক্ষুব্ধ। একাধিক রাজ্যে আইনসভার সদস্যরা পুরনো পেনশন স্কিমকে ফিরিয়ে আনার দাবিও জানিয়েছেন। যদিও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পুরনো পেনশন স্কিমে ফিরে যাওয়ার অর্থ সেই রাজ্যগুলির ওপর আর্থিক বোঝা বাড়ানো যেগুলি ইতিমধ্যেই দুর্বল অর্থনীতির সঙ্গে লড়াই করছে। 

Advertisement

এই ইস্যুতে দেশজুড়ে চলা রাজনৈতিক শোরগোলের মাঝেই, বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী অর্থনীতিবিদ মন্টেক আলুওয়ালিয়ার একটি ক্লিপিং শেয়ার করে বলেছেন, সাময়িক রাজনৈতিক লাভের জন্য কংগ্রেস দেশের ভবিষ্যতের নিয়ে কী করছে তা চিন্তাভাবনা করা উচিত।

কর্ণাটক
সম্প্রতি, কর্ণাটকে বিজেপির দুই বিধায়ক আয়ানুর মঞ্জুনাথ এবং এস ভি শঙ্কানুর ও জেডি (এস) বিধায়ক মারিথিবেগৌড়া পুরনো পেনশন স্কিম নিয়ে আলোচনায় দাবি অনুযায়ী ফলাফল না পাওয়ার অসন্তোষ প্রকাশ করে ওয়াকআউট করেন। বেঙ্গালুরুতে পুরনো পেনশন স্কিমের দাবিতে সরকারি কর্মীদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ওঠা একটি প্রশ্নের প্রেক্ষিতে চলছিল সেই আলোচনা। 

তামিলনাড়ু
বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে তামিলনাড়ুতেও। শনিবার কন্যাকুমারী কালেক্টরেটের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে, শিক্ষকদের সংগঠন - সরকারী কর্মচারী সংগঠনের (JACTO-GEO)-এর জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি সাফ জানিয়ে দেয় যে, আসন্ন নির্বাচন যদি মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের নেতৃত্বাধীন সরকার পুরনো পেনশন স্কিমকে ফিরিয়ে আনার দাবি পূরণ করতে অস্বীকার করে তবে শিক্ষক এবং সরকারি কর্মচারীরা ডিএমকে 'ত্যাগ' করবে। জয়েন্ট অ্যাকশান কমিটির অভিযোগ, ক্ষমতায় আসার পর স্ট্যালিন তামিলনাড়ুতে পুরনো পেনশন স্কিম ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি ভুলে গিয়েছেন। 

কেন্দ্রের অবস্থান
এই বিষয়ে একটি সংসদীয় স্থানীয় কমিটির নেতৃত্বে থাকা বিজেপি বিধায়ক জয়ন্ত সিনহা সম্প্রতি পুরনো পেনশন স্কিম সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। বিশেষজ্ঞরাও জানাচ্ছেন, পুরনো স্কিম ফিরিয়ে আনা আর্থিক দিক থেকে বিপজ্জনক। 

আরও পড়ুন - আয়করের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ছে? বাজেটে বড় সিদ্ধান্তের আশা বিশেষজ্ঞদের

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement