এই নিয়ে টানা পাঁচবার সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বুধবার দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের আর্থিক নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকে ঠিক হয় যে লেনদেনের মূল দুই হার একই রাখা হবে। যদিও এর ফলে মধ্যবিত্তের খুব একটা সুবিধে মিলবে না। বৈঠকে ঠিক হয়েছে রেপো রেট ৪ শতাংশ থাকবে আর রিভার্স রেপো রেট ৩.৩৫ শতাংশ রাখা হচ্ছে।
করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে ভারতে। এমন পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি রাজ্যে ফিরেছে নাইট কারফিউ, সপ্তাহান্তে লকডাউন-সহ অন্যান্য বিধিনিষেধ। স্বাভাবিক ভাবেই অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে ঋণের হার অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তবে সেক্ষেত্রে ঋণ এবং ইএমআই-এর ক্ষেত্রে কোনও স্বস্তির খবর পাওয়া যাবে না বলেই মত অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
রিভার্স রেপো রেট হ্রাস করে আরবিআই ব্যাঙ্কগুলির হাতে আরও বেশি অর্থ ছেড়ে দেয়, যাতে তারা আরও বেশি ঋণ দিতে পারে। অন্যদিকে, রেপো রেট হ্রাস করলে ব্যাঙ্কগুলি সস্তায় ঋণ সরবরাহ করে, যাতে গ্রাহকরা লাভবান হতে পারেন। এক্ষেত্রে তা হওয়ার সম্ভাবনা অবশ্য নেই।
আরবিআই-র গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের নেতৃত্বাধীন মনিটারি পলিসি কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, কয়েকটি রাজ্য সরকার বিধিনিষেধ জোরদার করেছে, করোনা সংক্রমণ সাম্প্রতিক বৃদ্ধি হয়েছে। তাই দেশের আভ্যন্তরীণ আর্থিক বৃদ্ধিতে অনিশ্চয়তা রয়েছে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পর্যাপ্ত লিকিউডিটির সঙ্গে বাজারকে ধরে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ভারতীয় বাজারে আপাত অনীহা প্রকাশ করছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। স্বভাবতই, সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই আরবিআই-এর এই অবস্থান। এর আগের চারটি আর্থিক নীতি কমিটির বৈঠকে মূল দুই সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।