Advertisement

No Income Tax Benefits: ১২ লক্ষ পর্যন্ত আয়ে কর নয়, বাজেটের এই ঘোষণার পিছনে আসল খেলা কী?

এসবিআই রিপোর্ট বলছে, এই ছাড় আগামী বছরগুলিতে অর্থনীতিতে ৩.৩ লক্ষ কোটি টাকা খরচ বাড়াতে সাহায্য কর। যার ফলে বহরে বাড়বে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। বাজারে অর্থের লেনদেন বেড়ে যাবে। তার ফলে ব্যাপকভাবে লাভবান হবে সরকার। 

নির্মলা সীতারমননির্মলা সীতারমন
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 14 Feb 2025,
  • अपडेटेड 8:49 PM IST
  • ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ের উপর কোনও কর লাগবে না।
  • কেন্দ্রের দাবি, করদাতাদের বার্ষিক প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

বাজেটে মধ্যবিত্তদের আয়ের উপর বড় ছাড় ঘোষণা করেছেন  কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতরমন। ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ের উপর কোনও কর লাগবে না। কেন্দ্রের দাবি, করদাতাদের বার্ষিক প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। অর্থনীতিবিদদের আশা, মানুষের হাতে অতিরিক্ত টাকা থাকলে বাজারে কেনাকাটা বাড়বে। জোরে ঘুরবে অর্থনীতির চাকা। বিশেষ করে অটো, এফএমসিজি, স্বাস্থ্য, পোশাক, খাদ্যপণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও পানীয় শিল্পের বাজার চাঙ্গা হবে করছাড়ের ঘোষণায়। 

আয়করে ছাড়ের রহস্য কী?

এসবিআই রিপোর্ট বলছে, এই ছাড় আগামী বছরগুলিতে অর্থনীতিতে ৩.৩ লক্ষ কোটি টাকা খরচ বাড়াতে সাহায্য কর। যার ফলে বহরে বাড়বে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। বাজারে অর্থের লেনদেন বেড়ে যাবে। তার ফলে ব্যাপকভাবে লাভবান হবে সরকার। 

এসবিআইয়ের রিপোর্ট আরও বলছে,উপকৃত হবে এফএমসিজি, স্বাস্থ্য পরিষেবা, অটোমোবাইল এবং বিনোদন শিল্প। জিএসটি আদায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি পেতে পারে। তা থেকে উপকৃত হতে পারে রাজ্যগুলি। তাদের আয় ২৮ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি পেতে পারে। কোম্পানিগুলির বাজার মূলধন ১ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা জিডিপি ০.৬ শতাংশ বৃদ্ধিতেও সাহায্য করতে পারে।

অর্থনীতিতে বাড়বে নগদের জোগান

আয়কর ছাড় দেওয়ার ফলে মধ্যবিত্তের পকেট থেকে খরচ হতে পারে ৩.৩ লক্ষ কোটি। কিন্তু কোথায় কোথায় এই টাকাটা খরচ হবে? রিপোর্ট বলছে, খাবার ছাড়া অন্যান্য পণ্যে খরচ হতে পারে ১.৯৯ লক্ষ কোটি টাকা। খাবার কেনায় খরচ হবে ১.৩০ লক্ষ কোটি। 

খাবারের মধ্যে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ও পানীয় খাতে সর্বাধিক ৩৭,২৫৭ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। গাড়ির জন্য প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা, দীর্ঘদিন চলে এমন পণ্যের জন্য ২২.৫ হাজার কোটি টাকার বেশি, পোশাকের জন্য প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা, জুতো কেনায় প্রায় ২৯০০ কোটি টাকা, চিকিৎসার জন্য প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা,পান-গুটকায় ৮ হাজার কোটি টাকা, জ্বালানি ও আলোয় প্রায় ১৮.৫ হাজার কোটি টাকা, টয়লেট এবং গৃহস্থালীর জিনিসপত্রের জন্য প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা, শিক্ষার জন্য প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা, ভোগ্যপণ্যের জন্য প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা, বিনোদনের জন্য প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা এবং ভাড়ার জন্য ২১.৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয় হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। 

Advertisement

ফলে এটা স্পষ্ট, আয়করে ছাড় আসলে বাজারে অর্থের জোগান অনেকখানি বাড়িয়ে দেবে। যা অর্থনীতির চাকাকে আরও দ্রুত ঘোরাবে। 

Read more!
Advertisement
Advertisement