বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনও কর দিতে হবে না। বড় ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি জানান, সরকারি ও বেসরকারি বেতনভুক্ত কর্মীদের বছরে ১২ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনও কর লাগবে না। আয়করে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০ থেকে ৭৫ হাজার করা হয়েছে। অর্থাৎ ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা আয়ে কোনও কর লাগবে না।
তাহলে মাসিক কত টাকা আয়ে কোনও লাগবে না? কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের ঘোষমা মোতাবেক, কোনও বেতনভুক্ত কর্মচারীর মাসিক আয় ১ লাখ টাকা পর্যন্ত তাঁকে কর দিতে হবে না।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানান, বছরে চার থেকে আট লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ৫ শতাংশ কর। বছরে আট লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ কর দিতে হবে। বছরে ১২-১৪ লক্ষ টাকা আয়ে ১৫ শতাংশ, বছরে ১৬-২০ লক্ষ টাকা আয়ে ২০ শতাংশ, বছরে ২০-২৪ শতাংশ পর্যন্ত ২৫ শতাংশ ও বছরে ২৪ লক্ষ টাকার বেশি হলে ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে।
এতদিন পর্যন্ত নতুন আয়কর কাঠামো বা নিউ রেজিমে বার্ষিক ৩ লক্ষ অবধি আয়ে কোনও কর দিতে হত না। বার্ষিক ৩ লক্ষ ১ টাকা থেকে ৭ লক্ষ টাকা অবধি আয়ে ৫ শতাংশ কর লাগত না। বার্ষিক ৭ লক্ষ ১ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয়ে ১০ শতাংশ, বার্ষিক ১০ লক্ষ ১ টাকা থেকে ১২ লক্ষ টাকা অবধি আয়ে ১৫ শতাংশ, ১২ লক্ষ ১ টাকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা অবধি আয়ে ২০ শতাংশ এবং বার্ষিক ১৫ লক্ষ টাকার বেশি আয়ে ৩০ শতাংশ কর দিতে হত না।
আবার ক্যানসার সহ ৩৬ জীবনদায়ি ওষুধে শুল্ক উঠেছে। ক্যানসার-সহ দুরারোগ্য রোগের জন্য ব্যবহৃত ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধে উঠে গেল শুল্ক। বাজেট পেশের সময় ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। পাশাপাশি, ৬টি জীবনদায়ী ওষুধে ৫% শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা করলেন তিনি। লিথিয়াম ব্যাটারিতেও শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা।
চিকিৎসা খাতে বাজেটে বড় ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি ঘোষণা করেছেন যে আগামী বছর দেশজুড়ে আরও ১০ হাজার ডাক্তারি আসন বাড়ানো হবে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে। এছাড়াও আগামী ৫ বছরে মোট ৭৫ হাজার ডাক্তারি আসন বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সীতারামন বলেছেন, 'এটি নরেন্দ্র মোদী সরকারের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ যা আগামী পাঁচ বছরে মেডিক্যাল আসন ৭৫ হাজার বৃদ্ধি করবে। গত এক দশকে মেডিক্যাল আসন ১৩০ শতাংশের উপর বৃদ্ধি করা হয়েছে। মোট ১.১ লক্ষ স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর আসন বেড়েছে।'