মুদ্রাস্ফীতির আঁচ এবার শিক্ষাক্ষেত্রেও লাগল। পড়ুয়াদের নিত্যদিনের প্রয়োজনের খাতাপত্রের দাম প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। খাতাপত্রের বাড়ন্ত দামে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের পকেটে টান পড়েছে।
দীর্ঘদিন পর স্কুল স্বাভাবিক নিয়মে খোলায় পড়ুয়াদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এপ্রিল মাসে স্কুলে নতুন সেশন শুরু হচ্ছে। দীর্ঘদিন পর স্কুল চালু হওয়ায় পড়ুয়াদের স্কুল ইউনিফর্ম, জুতো ছোট হয়ে গিয়েছিল। তাই স্কুল চালু হতেই ছেলে-মেয়েদের স্কুলের নতুন পোশাক আর জুতো কেনার জন্য দোকানে ছুটতে হয়েছিল অভিভাবকদের। অফলাইন ক্লাস চালু হতেই খাতার বাড়ন্ত দামে পকেটে টান পড়তে শুরু করল অভিভাবকদের।
বিগত দু বছরে স্কুল-কলেজের পঠনপাঠন মহামারীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনেকটাই বদলে গিয়েছে। অনলাইন ক্লাস, ই-মেলে ক্লাস নোট পেতে অভ্যস্থ হয়ে পড়েছিলেন স্কুল পড়ুয়াদের বাবা-মায়েরাও। কিন্তু ফের পুরোদমে অফলাইন ক্লাস চালু হতেই সাদা বা রুল টানা খাতার প্রয়োজন অনেকটাই বেড়ে গেল। আর দিস্তা দিস্তা খাতা কিনতে গিয়েই পড়ুয়াদের অভিভাবকরা বুঝলেন, খাতার দাম অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
খাতাপত্রের দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গে গড়িয়াহাট বাজারের বই-খাতার খুচরো বিক্রেতা পরাগ নন্দী জানান, কাগজের দাম অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আগে যেখানে এক রিম (৫০০ পাতা) A4 মাপের পাতা ১৬০ টাকা কেনা পড়ত, এখন সেটাই ২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। অর্থাৎ, এক ধাক্কায় প্রায় ১৫-২০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। স্কুলের বাচ্চাদের ক্লাস নোটের সাদা বা রুল টানা খাতার দামও এর সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। ৪০ টাকার খাতার দাম বেড়ে প্রায় ৪৮-৫০ টাকা হয়েছে। একই ভাবে সব মাপের খাতাপত্রের দামই বেড়ে গিয়েছে।
ব্যারাকপুরের বাসিন্দা বকুল মণ্ডল জানান, তাঁর সপ্তম শ্রেণিতে পড়া ছেলের সারা মাসের খাতাপত্রের খরচ ৭০০-৮০০ টাকা থেকে বেড়ে প্রায় ১২০০ টাকা হয়ে গিয়েছে। ফলে এই খাতে সারা বছরের খরচ প্রায় ৪-৫ হাজার টাকা বেড়ে গেল।