ভারত কৃষি সংস্কৃতির দেশে। কৃষকদের জন্য বিশেষ প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সকল শ্রেণির জন্য রয়েছে বিশেষ স্কিম। রেশন, আবাসন, বিমা, পেনশনের মতো একাধিক প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের জন্য একটি প্রকল্পও চালু করেছে। এর নাম প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনা। এতে কৃষকদের আর্থিক সহায়তার জন্য সরকার কিস্তিতে টাকা দেয়। বলে রাখি,এই প্রকল্পের ১৩টি কিস্তি কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। এখন এর ১৪তম কিস্তি পেতে চলেছেন কৃষকরা। ২৭ জুলাই কৃষকরা এই কিস্তির টাকা পাবেন।
প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনায় ৩ মাসের ব্যবধানে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ হাজার টাকা করে পাঠানো হয়। তার পরিমাণ বছরে ৬ হাজার টাকা। যার প্রথম কিস্তি এপ্রিল থেকে জুলাই, দ্বিতীয় কিস্তি অগাস্ট থেকে নভেম্বর এবং তৃতীয় কিস্তি ডিসেম্বর থেকে মার্চে পাওয়া যাবে।
ই-কেওয়াইসি জরুরি-
এখনও ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না করে থাকেন, তাহলে আপনি চোদ্দতম কিস্তির সুবিধা পাবেন না। এই কিস্তি পেতে ই-কেওয়াইসি করা প্রয়োজন। এর জন্য PM Kisan-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট pmkisan.gov.in-এ লগ ইন করে আপনার ই-কেওয়াইসি সম্পূর্ণ করতে পারেন। এছাড়াও আপনি CSC কেন্দ্র থেকে ই-কেওয়াইসি করাতে পারেন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে কৃষকের আধার লিঙ্ক করা দরকার। যাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার যোগ নেই তাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না।
নাম আছে কিনা যেভাবে দেখবেন-
এই স্কিমের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট pmkisan.gov.in-এ লগ ইন করে কৃষকরা নিজেদের নাম দেখে নিতে পারেন। জানতে পারবেন, চোদ্দতম কিস্তির সুবিধা পাবেন কিনা। এর জন্য আপনাকে হোমপেজের ফার্মার্স কর্নারে যেতে হবে। এর পর Beneficiary Status-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজে সমস্ত তথ্য পূরণ করুন। প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনায় দেখতে পারবেন, আপনার নামে আছে কিনা। এছাড়া টোল ফ্রি নম্বর ১৫৫২৬১-তে যোগাযোগ করেও আপনি সুবিধাভোগী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত কিনা তা জানতে পারেন কৃষকরা। এ ছাড়া আপনার ই-কেওয়াইসি সম্পূর্ণ হয়েছে কি না, টাকা পাবেন কি না, এমন অনেক তথ্য জানতে পারবেন।
কারা পিএম কিষানের সুবিধা পান না-
যে কৃষকরা অন্য কৃষকের জমি ভাড়া নিয়ে চাষাবাদ করেন তাঁদের এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয় না। এই প্রকল্পের জন্য জমির মালিকানা বাধ্যতামূলক৷ এছাড়াও, যদি কৃষক বা তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য সাংবিধানিক পদে থাকেন বা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সিএ বা আইনজীবীর মতো পেশার হন তাহলে তাঁকে এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয় না। অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী যাঁর মাসিক পেনশন ১০,০০০ টাকা বা তার বেশি, তিনিও এই প্রকল্পের আওতায় আসেন না।