রাজ্যসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে দারিদ্র দূরীকরণে জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ প্রস্তাবের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের অর্থনীতি নিয়ে কথা বলেন। জানান, এই সরকারের পরিকল্পনা হল, আগামী ৫ বছরে দেশ থেকে দারিদ্র দূরীকরণ করা। সেকারণে এই মেয়াদকাল সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে এই সরকার দারিদ্র দূরীকরণে কাজ করবে সেকথাও জানান প্রধানমন্ত্রী।
মোদী বলেন, 'আমরা বিশ্বের তৃতীয় শক্তিশালী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করব। ভারতের অর্থনীতিকে ১০ নম্বর থেকে পঞ্চম স্থানে নিয়ে যেতে সফল হয়েছি। করোনা মহামারির সময়ও দেশের বিকাশ থেমে থাকেনি। জনগণ বিশ্বাস রেখেছে বলেই দেশের অর্থনীতিকে পাঁচ নম্বর থেকে তিন নম্বরে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। আমাদের সরকারকে ক্ষমতায় এনেছেন।'
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'আমরা গত ১০ বছরে যা করেছি তার গতি আরও বাড়াব। সরকার উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করছে। আমাদের দেশ যখন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে, তখন তা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে। সাধারণ মানুষ এর প্রভাব বুঝতে পারবে।'
সব পেশার মানুষের মতো কৃষকদের সাহায্য করাও সরকারের কর্তব্য। ভাষণে জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, 'সবার উন্নয়নই আমাদের মূল মন্ত্র। আমরা কৃষকদের জন্য কাজ করেছি এবং ক্ষুদ্র কৃষকরা ধারাবাহিকভাবে সুবিধা পেয়েছেন।'
তিনি বলেন, 'কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের ফলে কৃষকদের অনেক উপকার করতে পেরেছি। কংগ্রেসের আমলে শুধু কৃষকদের বিভ্রান্ত করার কাজ হয়েছে। একবার ৬০ হাজার কোটি টাকার ঋণ মকুব নিয়ে অনেক গোলমাল হয়েছিল এবং অনুমান করা হয়েছিল যে এই ঋণ মকুবের ক্ষেত্রে ছোটো দরিদ্র কৃষকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কোনও সুফল তাঁদের কাছে পৌঁছায়নি। কিন্তু কৃষকদের কল্যাণ আমাদের সরকারের কেন্দ্রে।'
একটি উদাহরণ দিয়ে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান যোজনা চালু করা হওয়ার পর ১০ কোটি কৃষক এর থেকে উপকৃত হয়েছে। আজ থেকে ছয় বছরে আমরা কৃষকদের ৩ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছি।'
প্রসঙ্গত, রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী যখন বক্তৃতা করছিলেন, তখন বিরোধীরা হট্টগোল শুরু করে এবং সংসদ ভবন থেকে ওয়াক আউট করেন। তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'দেশ দেখছে যারা মিথ্যা ছড়ায় তাদের সত্য শোনার শক্তিও নেই।'