অবশেষে স্বস্তি। পেট্রোল-ডিজেল কিছুদিন ধরে স্বস্তিতে রেখেছে ভারতবাসীকে। এবার একই পথে হেঁটে স্বস্তি দিতে চলেছে ভোজ্য তেলও। সরষা থেকে সূর্যমুখী অথবা সোয়াবিন তেল। ভারতবাসীকে মাগ্গি গন্ডার বাজারে অনেকটাই সুবিধা দেবে দাম কমায়। সাধারন মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। মূল্যবৃদ্ধির দাপটের মধ্যেই কিছুটা টাটকা বাতাস তেলের দাম কমার খবরে। এই সপ্তাহের রেট অনেকটাই কমেছে।
কেন কমলো দাম?
ধারা ব্র্যান্ডের খাদ্য তেল বিক্রি করা সরকারি কোম্পানি মাদার ডেয়ারি সরষের তেলের দাম কমিয়েছে। এছাড়া অন্য ব্র্যান্ডের কোম্পানিগুলো নিজেদের থেকে এমআরপি কমিয়ে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তেলের চাহিদা দাম বাড়ায় কমেছিল। বিদেশের বাজারে ভারতের খাওয়ার তেল এর দাম কমেছে। এছাড়া স্থানীয় চাহিদাও কমেছে। এই কারণে তেল কোম্পানির দাম কমাতে বাধ্য হয়েছে।
কোন কোম্পানিগুলি দাম কমিয়েছে?
মাদার ডেয়ারি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে ধারা ব্র্যান্ডের যে সমস্ত ক্যাটাগরি রয়েছে, তার দাম ১৫ টাকা পর্যন্ত প্রতি লিটারে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আদানি উইলমার নিজেদের এডিবল অয়েল এর দাম প্রতি লিটার ১০ টাকা কমিয়েছে। আগে তাদের এমআরপি ছিল ২০৫ টাকা। এখন ১৯৫ টাকা। প্রতিযোগী কোম্পানি ফরচুন রিফাইন সানফ্লাওয়ার তেল ১ লিটার প্যাকেটে এমআরপি ২২০ টাকা থেকে কমিয়ে ২১০ টাকা করে দিয়েছে। নতুন দামওয়ালা প্যাকেট খুব দ্রুত বাজারে পৌঁছে যাবে বলে জানানো হয়েছে।
এই সপ্তাহে কমেছে দাম
পিটিআই এর বক্তব্য অনুযায়ী সবজিমন্ডিগুলিতে চাহিদা কমায় দাম পড়ে গিয়েছিল। আমদানিকৃত চাহিদাও পড়ে গিয়েছে। এতে সপ্তাহের শেষে তেলের জন্য় আনা তিলের দাম কমেছে। এই সপ্তাহের শেষে সরষার দাদরি তেলের দাম ২০০ টাকা কমে ১৫ হাজার ১০০ টাকা কুইন্টাল দামে বন্ধ হয়েছে। সেখানে সরষার পাকা ঘানির তেল এবং কাচ্চি ঘানি তেলের দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কমে ২৩৬৫ -২৪৪৫ টাকা এবং ২৪০৫-২৫১০ টাকায় প্রতিদিন বন্ধ হয়েছে।
পাম তেলের আমদানি
ভারতে মে মাসে ৬ লক্ষ ৬০ হাজার টন পাম তেল আমদানি করা হয়েছে। ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি পাম তেল ইমপোর্ট করা দেশ। গত সপ্তাহে দেশে সানফ্লাওয়ার তেল এর সাপ্লাই রাশিয়া এবং আর্জেন্টিনার মত দেশ থেকে বেড়েছে। এর প্রভাব দামের পড়েছে এবং খাদ্যতেলের দাম কমেছে। সেখানে কেন্দ্র সরকার কাঁচা সূর্যমুখী তেলের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। সেখানে দেশে সানফ্লাওয়ার বীজ উৎপাদন ভালো হয়েছে।