শাক সবজির দামে একেই নাস্তানাবুদ মধ্যবিত্ত। তার মধ্যেই খারাপ খবর। এবার বাড়তে পারে ডালের দামও। অর্থনৈকিত বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে ডালের দাম। সেটা যে কোনও ডাল হতে পারে। এমনিতেই ডালের দাম ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। তার উপর নতুন করে ডালের দাম বাড়ার খবরে চিন্তিত সাধারণ মানুষ।
সম্প্রতি Ministry of Statistics and Programme Implementation-এর পরিসংখ্যান সামনে এসেছে। সেই অনুসারে, ভারতের consumer price index ভিত্তিক মূল্যস্ফীতি জুনে ৪.৮১ শতাংশ। যা তিন মাসে সর্বোচ্চ। মে মাসে ছিল ৪.৩ শতাংশ । তা দেখেই অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডালের দাম ফের বাড়তে পারে।
এই বছর ডালের দাম বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। এক রেটিং এজেন্সির মতে, গত পাঁচ মাসে ডালের মূল্যস্ফীতির হার প্রায় দ্বিগুণ। আর নতুন করে মূল্যস্ফীতির তথ্য আসার পর চিন্তিত অর্থনীতিবিদরা। তাঁরা মনে করছেন, এবছরের শেষের দিক পর্যন্ত হয়তো ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে ডালের দাম।
গত প্রায় ১৫ দিন ধরে সবজির বাজারে আগুন। কাঁচা লঙ্কা, পটল, ঝিঙে, বেগুন, টমেটোর মতো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। ফলে সবজি কিনতে গিয়ে মাথায় হাত অনেকের। কবে সবজির দাম কমবে ? এই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে।
কেন সবজির দাম এত বাড়ছে ? বাজারের বিক্রেতারা জানান, সবজির দাম বাড়ার প্রধান কারণ আবাহাওয়ার পরিবর্তন ৷ অতিরিক্ত তাপপ্রবাহ, সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় সবজির উৎপদান পর্যাপ্ত পরিমাণ হয়নি ৷ যার ফলে বেড়েছে সবজির দাম ৷ অনেকে আবার কর্ণাটকে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণকে দায়ি করেছেন সবজির অগ্নিমূল্যের কারণ হিসাবে৷ কারণ কর্ণাটক থেকে বাংলায় অনেক সবজি আসে। তবে বৃষ্টির কারণে সেখানেও ফসল নষ্ট হয়েছে। তাই কলকাতা বা রাজ্যে আসছে না সেখান থেকে সবজি। যার জেরে সবজির দাম হু হু করে বাড়ছে।
এদিকে রাজ্য সরকারের তরফে টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে এই সবজির দাম তদারকির জন্য। টাস্ক ফোর্স মনে করছে, বাইরে থেকে আসে টমেটো। বাইরে দাম কমলে এখানে কমবে। বর্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, ভোট সব মিলিয়ে এখন দাম বেশি। যদিও এত দাম বাড়ার কারণ হিসেবে প্রশাসনকেও দায়ি করছে একাংশ। তাদের স্পষ্ট অভিযোগ, পুলিশের জুলুমবাজি বন্ধ হলেই দাম কমবে। কারণ, পুলিশ রাস্তার মোড়ে মোড়ে গাড়ি আটকে টাকা চায়। ২০০-৫০০ টাকার কমে নেয় না পুলিশ। সেক্ষেত্রেও অনেকটা টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে।