মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সুখবর। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার জানাল,জানুয়ারিতে মূল্যবৃদ্ধির হার নেমে গিয়েছে ৪.৩১ শতাংশে। যা গত ৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। বাজারে খাদ্যদ্রব্যের দাম কমার প্রভাব পড়েছে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির সূচকে। গত মাসে, ডিসেম্বরে তা ছিল ৫.২২ শতাংশ। এক বছর আগের একই সময়ে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৫.১%।
কমেছে খাদ্যদ্রব্যের বাজারদর
খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার হ্রাসে অনুঘটক হয়েছে খাদ্যদ্রব্যের দাম। বুধবার সরকারের প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলছে, জানুয়ারিতে মূল্যবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৬.০২ শতাংশে। যা ডিসেম্বরে ছিল ৮.৩৯ শতাংশ। গত বছরের জানুয়ারিতে তা ছিল ৮.৩ শতাংশ। প্রসঙ্গত, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল তার কাছাকাছি চলে এসেছে দেশের খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার। আরবিআই-এর লক্ষ্য খুচরো মূল্যবৃদ্ধিকে ২-৪ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনা।
খুচরো মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমানের চেয়েও ভালো ফল এসেছে। জানুয়ারিতে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি ৪.৫ শতাংশ থাকতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছিল। ঋণনীতি পর্যালোচনায় আরবিআই গভর্নর অনুমান করেছিলেন, মূল্যবৃদ্ধি থাকতে পারে ৪.৪ শতাংশ।
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে থাকায় আশার আলো
দিন কয়েক আগে ৫ বছর পর রেপো রেট কমিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তা স্বস্তি দিয়েছে ইএমআই দেওয়া ভারতীয়দের। এবার কমল মূল্যবৃদ্ধিও। এর ফলে মূল্যবৃদ্ধির হার আরবিআই-এর নির্ধারিত সীমার মধ্যে থাকায় রেপো রেট আরও কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধির হারে আশঙ্কা
রেপো রেট ৬.৫০ শতাংশ থেকে কমে ৬.২৫ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে শিল্পোৎপাদনে হার কমে হয়েছে ৩.২ শতাংশ। খনি ও উৎপাদন ক্ষেত্রে মন্থর হার শিল্পোৎপাদনকে টেনে নীচে নামিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শিল্পোৎপাদনের হার বেড়েছিল ৪.৪ শতাংশ।