
আজ BSE Sensex পড়েছে ৩৪৫.৯১ পয়েন্ট। এটা শেষ করেছে ৮৪,৬৯৫.৫৪ পয়েন্টে। ও দিকে আবার NSE Nifty 50 পড়েছে ১০০.২০ পয়েন্ট। এটি শেষ করেছে ২৫,৯৪২.১০ পয়েন্টে। আর শেয়ারবাজারের এমন পতনের পিছনে মার্কেটের কনসলিডেশন এবং প্রফিট বুকিং রয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
এই প্রসঙ্গে জিওজিৎ ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের হেড অব রিসার্চ বিনোদ নায়ার জানিয়েছেন, বিনিয়োগকারীরা এখন ছুটির মেজাজে রয়েছে। এই সময় একটা কনসলিডেশন মোডে রয়েছে বাজার। তাই এমনটা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, '২০২৬-এর দিকে তাকালে বলা যায়, মার্কেট এখন কোয়ার্টার ৩-এর রেজাল্টের দিকে এবং আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি দিকে তাকিয়ে থাকবে। পাশাপাশি বিশ্ব বাজারে বাণিজ্য নিয়ে সমস্যা এবং টাকার দর কমার কারণে বিনিয়োগকারীরা লার্জ ক্যাপ স্টকের দিকে নজর দিতে পারে। এই সব স্টকের আয় ভাল হতে পারে। শুধু তাই নয়, এগুলিতে বিনিয়োগ করা অনেকটাই সেফ।'
কোন কোন স্টকের দাম বাড়ল?
এ দিন টাটা স্টিলের শেয়ারের দাম ১.৭১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এশিয়ান পেইন্টস বেড়েছে ১ শতাংশ, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার উঠেছে ০.৫৪ শতাংশ, ইটারনাল ০.৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এনটিপিসি ০.৪৫ শতাংশ বেড়েছে।
কোন কোন স্টকের দাম পড়ল?
এ দিন দাম কমেছে আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইনকোনোমিক জোনের শেয়ার। এটির দাম নেমেছে ২.২৪ শতাংশ। এছাড়া এইচসিএল টেকনোলজি ১.৮৩ শতাংশ, পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া ১.৮১ শতাংশ, ট্রেন্ট ১.৩৫ শতাংশ এবং ভারত ইলেকট্রনিক্স ১.২৬ শতাংশ নেমে গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বিশ্ব বাজারে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। আর ভারতীয় টাকার দামও দিন দিন পড়ছে। পাশাপাশি আমেরিকা এবং ভারতের বাণিজ্য চুক্তি নিয়েও কোনও রকম খবর নেই। সেই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও টাকা তুলে নিচ্ছেন ভারত থেকে। যার ফলে পড়ছে শেয়ারবাজার। তবে এই পরিস্থিতি আগামিদিনেও এগবে কি না, সেই সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তাই এখন স্টক কেনার আগে অবশ্যই ফান্ডামেন্টাল ও টেকনিক্যাল দেখুন। পাশাপাশি নিতে পারেন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ। তারপরই কিনুন স্টক।
বিদ্র: এই নিবন্ধটি পড়ে আবার স্টক কিনবেন না বা বিনিয়োগ করবেন না। এটি খবর দেওয়ার এবং শিক্ষার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। এছাড়া নিজেও করুন রিসার্চ। তারপরই স্টকে করুন ইনভেস্ট।