Stock Market Update: স্টক মার্কেটে পূর্ব ইউরোপে যুদ্ধ এবং তার মাঝখানে ফের নতুন করে পৃথিবীর একাধিক অংশে করোনার দাপট সামনে আসার পর থেকে বেশ কিছু শহরে নতুন করে লকডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। এর আগে থেকেই উদ্বিগ্ন ইনভেস্টরদের আরও ভয় পাইয়ে দিয়েছে স্টক মার্কেট। লকডাউনের ফেজ কাটিয়ে মহামারী নতুন ঢেউ-এর আশঙ্কায় দুনিয়াভরের শেয়ারবাজার গোঁত্তা খেয়ে পড়েছে। ঘরোয়া মার্কেটও এ থেকে বাঁচতে পারেনি। সোমবার শেয়ার মার্কেট খুলেই রেড জোনে চলে গিয়েছে।
বাজার খুলতেই মার্কেট রেড জোনে চলে যায়
বাজার বন্ধ হওয়ার সময় যদিও মার্কেট গ্রিন ছিল। কিন্তু যখনই এটি খুলেছে তখনই লাল সংকেত দেখানো শুরু করে দেয়। মার্কেটে ট্রেড শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেন্সেক্স প্রায় ৩৫ অঙ্ক নীচে চলে গিয়েছে। যদিও কিছু মিনিটের মধ্যে কিছুটা রিকভারি হয়েছিল। সকাল ৯টা ২০তে এটি গ্রিন জোনে চলে যায়। কিন্তু এ দ্রুততম মামুলি দুই অংকের মধ্যে চেয়েও কম ছিল। গ্লোবাল প্রেসারে আজকের বাজার ভোলাটাইল থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুরুতে ব্যবসার জন্য এমন সংকেত দেখা যাচ্ছে। গ্রিন জোনে কিছু সেকেন্ডে থাকতেই সেন্সেক্স প্রায় ১০০ অঙ্ক পড়ে গিয়েছে। নিফটি প্রায় ৪০ সূচক পড়ে গিয়েছে। ১৭ হাজার ১১৫ অংকের আশপাশে ব্যবসা চলছে। সকাল সাড়ে নটায় সেন্সেক্স ২৫০ অংকের বেশি পড়ে গিয়েছে।
চিনে লকডাউন, আশঙ্কা বাণিজ্যিক বিশ্বে
চিনের ফিনানসিয়াল ক্যাপিটাল, সাংহাইতে অথরিটি দু'দিনের জন্য লকডাউন জারি করে দিয়েছে। এই লকডাউন এর জন্য সমস্ত কোম্পানিগুলিকে তালা মেরে দেওয়া হয়েছে। ম্যানুফ্যাকচারিং সাসপেনশন বলা হয়েছে এবং সবাই রিমোটলি কাজ করতে শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে গ্লোবাল মার্কেটে পতন শুরু হয়েছে। জাপানের নিফটি ০.৪ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। চিনের সাংহাই কম্পোজিট স্থির রয়েছে। যেখানে হংকংয়ের হ্যাংস্যাং এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্পি সামান্য দ্রুততার সঙ্গে চলছে।
নিফটি ও সেনসেক্সে পতন অব্যাহত
এর আগে শুক্রবারও সেন্সেক্স এবং নিফটি পড়ে গিয়েছিল। এর আগে শুক্রবারে সেন্সেক্স ও নিফটি পতনের ট্রেন্ড দেখা যায়। বিএসই সেনসেক্স ২৩৩ অংক পড়ে ৫৭ হাজার ৩৬২ অংক পড়ে যায়। পড়ে যাওয়ার পর ১৭,১৫৩ অঙ্কে গিয়ে স্থির হয়। বাজারে মাসের আগের দুই সপ্তাহে ৬ শতাংশ বেশি তেজি এসেছিল। যেখানে গত সপ্তাহে ০.৮ শতাংশ পড়ে গিয়েছে।