বাঙালির রোজনামচার সঙ্গী বোরোলিন। শীতকালে ঠোঁট ফাটা হোক বা পা ফাটা- সবেতেই বোরোলিন লাগে। কিন্তু বিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলে তো মুশকিল! এমন বহু ব্র্যান্ডই বিলুপ্ত হয়েছে কালের গর্ভে। আজ তারা ইতিহাস। নোকিয়া ফোনই হতে পারে সাম্প্রতিক বড় উদাহরণ। কিন্তু বোরোলিন এখনও টিকে আছে। জানলে অবাক হবেন, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বোরোলিনের পরিবর্তনের আইডিয়া আদতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেই সে কথা জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার 'শিল্পান্ন'র উদ্বোধনেও আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
২০২৩ সালের অগাস্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বোরোলিনের ক্রিম আঠার মতো লাগত। অরূপ বিশ্বাসের মাধ্যমে ডেকে পাঠিয়েছিলেন বোরোলিনের কর্তাদের। বোরোলিনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মমতা বলেছিলেন, বোরোলিন আঠার মতো লাগছে। তাই বিক্রি কমছে। একটু নরম করতে হবে। ঠোঁটে দিলে যেন মনেই না হয়। এমনকি 'ফ্লেভার' যোগ করার পরিকল্পনাও তাঁর। সেই মতো বোরোলিন তৈরি করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছিলেন সংস্থার কর্তারা। তারপর বিক্রিবাটাও বাড়ে বলে দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বলেছিলেন,'আমার একটা আইডিয়াতেই বোরোলিনের বাজার হু হু করে বেড়ে গিয়েছে। ব্যবসায় ছোট ছোট টিপস কাজে আছে, অনেক কাজে লাগে'।
বৃহস্পতিবার 'শিল্পান্ন'র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও একবার বোরোলিনের নতুন মোড়কের সঙ্গে তাঁর যোগ মনে করিয়ে দেন মমতা। বলেন,'বোরোলিন আগে মেয়েরা, এমনকি ছেলেরাও ব্যবহার করতেন। সেটা একটু মোটা, মানে ভারী টাইপের ছিল। আমি একদিন ওদের ডাকলাম, বললাম এটাকে হালকা করো। আর তুমি জ্যাসমিন, ভেসলিন, ভ্যানিলা করো। দেখবেন পাতলা পাতলা, মেয়েরা যাতে ছোট ব্যাগে রাখতে পারে, এমন বোরোলিন তৈরি হয়েছে। ওদের মার্কেট ভীষণ ভালো। এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড'।