Tata Technologies IPO: টাটা টেকনোলজিসের আইপিও নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রচুর উৎসাহ রয়েছে। এই আইপিও ২২ নভেম্বর, ২০২৩-এ খুলছে। আইপিও খোলার তারিখ প্রকাশের পর এখন কোম্পানিটি তাদের শেয়ারের প্রাইস ব্যান্ডও ঘোষণা করেছে। টাটা টেকনোলজিস শেয়ার প্রতি ৪৭৫ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত প্রাইস ব্যান্ড নির্ধারণ করেছে। অন্তত ৩০টি শেয়ারের জন্য আবেদন করা যাবে। অর্থাৎ, ইচ্ছুক বিনিয়োগকারীদের ন্যূনতম ১৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। শেয়ারের অভিহিত মূল্য ইক্যুইটি শেয়ার প্রতি ২ টাকা।
এদিন অ্যাঙ্কর ইনভেস্টরদের জন্য আইপিও খোলা
সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ২২ নভেম্বর ২০২৩ থেকে ২৪ নভেম্বর ২০২৩-এর মধ্যে Tata Technologies IPO-তে বিনিয়োগ করতে পারেন৷ অ্যাঙ্কর বিনিয়োগকারীদের জন্য IPO ২১ নভেম্বর ২০২৩-এ খোলা হবে। এই আইপিওটি সম্পূর্ণরূপে অফার ফর সেলের মাধ্যমে চালু করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে টাটা মোটর্স, টাটা ক্যাপিটাল গ্রোথ ফান্ড-১ এবং আলফা টিসি হোল্ডিং এই ইস্যুর মাধ্যমে তাদের শেয়ার বিক্রি করতে চলেছে।
এই অনেক অংশ খুচরা বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত
টাটা টেকের এই আইপিওতে, যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক ক্রেতাদের জন্য ৫০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষিত হয়েছে। যেখানে ১৫ শতাংশ শেয়ার অ-প্রাতিষ্ঠানিক ক্রেতাদের জন্য এবং ৩৫ শতাংশ শেয়ার খুচরা বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। যেখানে টাটা মোটর্সের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৬,০৮৫,০২৭ ইক্যুইটি শেয়ার সংরক্ষিত আছে এবং ২,০২৮,৩৪২ ইক্যুইটি শেয়ার কোম্পানির কর্মচারীদের জন্য সংরক্ষিত আছে।
টাটা টেকনোলজিস বাজার থেকে এত টাকা সংগ্রহ করবে
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, কোম্পানিটি ৩০ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বরাদ্দ করবে। যেখানে রিফান্ড ১ ডিসেম্বর, ২০২৩-এ জারি করা হবে। কোম্পানির শেয়ার ৫ ডিসেম্বর BSE এবং NSE-তে তালিকাভুক্ত হবে। কোম্পানিটি এই আইপিওর মাধ্যমে ৩০৪২.৫১ কোটি টাকা সংগ্রহের চেষ্টা করছে। এই আইপিওর মাধ্যমে মোট ৬০,৮৫০,২৭৮টি ইক্যুইটি শেয়ার বিক্রি করা হবে।
কোম্পানির ব্যবসার ধরন
টাটা টেক টাটা মোটর্সের একটি সহযোগী সংস্থা। এই কোম্পানী ইঞ্জিনিয়ারিং পরিষেবার পাশাপাশি প্রযুক্তি ভিত্তিক সহায়তাও প্রদান করে। এই কোম্পানি মহাকাশ, যন্ত্রপাতি এবং পরিবহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা প্রদান করে। কোম্পানির আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে কথা বললে, ২০২৩ সালের আর্থিক বছরে কোম্পানির আয় ২৫ শতাংশ বেড়ে ৪,৪১৮ কোটি টাকা হয়েছে। কোম্পানির মুনাফা ছিল ৭০৮ কোটি টাকা, যা প্রায় ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি রেকর্ড প্রমাণ করে।