Tax Saving Tips With High Return Investments: এই নতুন অর্থবছরে আমরা যদি আমাদের ব্যক্তিগত অর্থনীতির কিছু খুঁটিনাটি জেনে নিয়ে প্রথম থেকেই বিনিয়োগ পরিকল্পনা করে ফেলি, বিশেষত আয়করের ছাড় পাওয়ার প্রকল্পগুলি সম্পর্কে, তাহলে শেষ মুহূর্তের (৩১ মার্চ) তাড়াহুড়োয় ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে নিজেদের বিরত রাখতে পারি।
৩১ মার্চ মানেই অর্থ বর্ষের শেষ এবং তার সঙ্গে আয়কর ছাড় যোগ্য বিভিন্ন অর্থনৈতিক ইন্সট্রুমেন্টে বিনিয়োগ করার শেষ দিন। পুরোনো আয়করের নিয়ম অনুযায়ী ৮০সি, ৮০ডি ইত্যাদি। ট্যাক্সে ছাড় পাওয়ার জন্য অনেক সময় আমরা এমন কিছু বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি যা পরবর্তীতে কিছুটা অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। তাড়াহুড়োর বশে সঠিক বিচার-বিবেচনা না করেই বিনিয়োগ হয়ে গেলে তা থেকে বেরনোর উপায়ও ততটা লাভজনক হয় না। তাই আজ জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন খাতে বিনিয়োগ করলে কীভাবে কত টাকা আয়করে ছাড় পেতে পারি এবং ভবিষ্যতে ভাল রিটার্নও পাওয়া যাবে। এর ফলে তাড়াহুড়োয় কর বাঁচাতে নিয়ে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে...
আরও পড়ুন: অনলাইনে IPL-এর দল বানিয়ে দেদার কামাচ্ছেন, কত ট্যাক্স জানেন তো?
এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞ সৈকত মিত্র বলেন, “তাড়াহুড়োয় কর বাঁচাতে নিয়ে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখা সম্ভব। তার জন্য চাই যথাযথ পরিকল্পনা আর সঠিক বিনিয়োগের ক্ষেত্র। মনে রাখবেন, কর বাঁচাতে নয়, তবে কর বাঁচিয়ে বিনিয়োগ করাটাই জরুরি এবং সেটাই উচিত। যে কোনও ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গঠন করার সময় যে দুটি বিষয় আমাদের মনে রাখা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথমতঃ কখনও বিমার প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা এক করা উচিত নয়। যেমন, ক্রিকেটারকে দিয়ে ক্রিকেট এবং ফুটবলারকে দিয়ে ফুটবল খেলানোই যুক্তিযুক্ত। তাতে দুদিকের (বিমা) ফলাফলই বেশি লাভজনক এবং সঠিকভাবে প্রয়োজনীয়তাকে পূরণ করতেও সক্ষম।
দ্বিতীয়ত, আমাদের এমন ভাবে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করা উচিত যার ফলস্বরূপ আমরা আমাদের প্রয়োজনীয়তাও মেটাতে পারি এবং একইসঙ্গে আয়করেও ছাড় পেতে পারি। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এমনটা যেন না হয় যে, শুধুমাত্র আয়কর ছাড় পাওয়ার জন্যই অপ্রয়োজনীয় খাতে বিনিয়োগ করে ফেললেন।”
নতুন অর্থবর্ষে যে সব খাতে বিনিয়োগে কর বাঁচিয়ে বেশি রিটার্ন পাওয়া সম্ভব?
অপ্রয়োজনীয় খাতে বিনিয়োগ করে ফেলে পরে আফসোস করার চেয়ে নতুন অর্থবর্ষের শুরুতেই এমন কয়েকটি খাতে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন, যার মাধ্যমে কর বাঁচিয়ে বেশি রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF), ইক্যুইটি-লিঙ্কড সেভিংস স্কিম (ELSS), ন্যাশনাল পেনশন স্কিম (NPS), সিনিয়র সিটিজেন সেভিং স্কিম (SCSS), ইউনিট লিংকড ইন্সুরেন্স প্ল্যান (ULIP), সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা (SSY), ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (NSC), পরিবারের সুরক্ষার কথা ভেবে Pure term plan কিনতে পারেন যা অতি প্রয়োজনীয়, ব্যাঙ্ক ফিক্সড ডিপোজিট বা জীবন বিমায় বিনিয়োগ করে সঞ্চয়, সুরক্ষার পাশাপাশি বছরের শেষে অনেকটা কর ছাড় পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
সুতরাং, বিনিয়োগ করুন ভেবেচিন্তে নতুন অর্থবর্ষের শুরুতেই। শুধুমাত্র কর বাঁচাতেই নয়, বড় সঞ্চয় ও ভবিষ্যত সুরক্ষার লক্ষ্যে বিনিয়োগ করুন উল্লেখিত ১০ খাতের যে কোনওটিতে। নিজের আয় বুঝে তবেই বিনিয়োগের সিদ্ধান্তচ নিতে হবে।