নয়া কর ব্যবস্থায় ১৫ লক্ষ টাকার কম আয়কারী করদাতারা লাভবান হয়েছেন। করের স্ল্যাবের সীমা বাড়ানোয় আয়ের ওপর করের বোঝা কমেছে। তবে যাঁরা বেশি আয় করেন তাঁদের ক্ষেত্রে কী হবে? আসন্ন বাজেটে ১৫ লাখের কম আয়ের ক্ষেত্রেই বা কী নিয়ম হবে? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
যাঁরা সর্বোচ্চ করের স্ল্যাবে পড়েন, তাঁদের জন্য গত পাঁচ বছরে করের সীমায় কোনও পরিবর্তন হয়নি। ২০২০ সালে নতুন কর ব্যবস্থা চালুর পর থেকে কস্ট ইনফ্লেশন ইনডেক্স (CII) প্রায় ২১ শতাংশ বেড়েছে।
মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব কমাতে গত পাঁচ বছরে ১৫ লক্ষ টাকার কম আয়কারী করদাতাদের জন্য করের সীমা ন্যূনতম ২০ শতাংশ এবং সর্বাধিক ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে ১৫ লক্ষ টাকার বেশি আয়ের ক্ষেত্রে করের হার ৩০ শতাংশেই অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, মূল্যবৃদ্ধি তো আছেই, তার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে নিত্যনতুন খরচের প্রবণতাও বাড়ছে। বেশি আয়কারীরা যত বেশি খরচ করবেন, অর্থনীতির পক্ষে সার্বিকভাবে সেটা ভাল। সে কথা মাথায় রেখে হায়ার ট্যাক্স স্ল্যাবের করদাতাদেরও কর ছাড় দেওয়া উচিত, মত বিশেষজ্ঞদের।
এদিকে তথ্য বলছে, ৭০ শতাংশ করদাতার আয় ৫ লক্ষ টাকার কম। ফলে, বাকি ৩০ শতাংশ করদাতাই ডাইরেক্ট করের সবচেয়ে বড় উৎস। ফলে সেখানে ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রেও সরকারকে সাবধানী পদক্ষেপ নিতে হবে।
মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরা গৃহঋণের উপর বেশি সুদ, সন্তানের স্কুলের ফি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্য আগের তুলনায় বেশি মাত্রায় খরচ করতে বাধ্য হচ্ছেন। কর ছাড় পেলে তাঁদের অনেকটা স্বস্তি মিলবে।
Grant Thornton India's সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশের ৫৭ শতাংশ ব্যক্তি করদাতা করের বোঝা কমানোর দাবি জানিয়েছেন।
এছাড়াও, ওল্ড রেজিমে LIC স্কিম বা মেডিক্যাল বিমায় টাকা রাখলে সেক্ষেত্রে কর ছাড় বৃদ্ধিও চাইছেন অনেকে। সেই বিষয়ে বিশদে জানতে এইখানে ক্লিক করুন।
দ্রষ্টব্য: শেয়ার, বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলি বাজার পর্যবেক্ষণ মাত্র। এগুলি বিনিয়োগের পরামর্শ নয়। বাজারে বিনিয়োগের আগে অবশ্যই পড়াশোনা করুন এবং বিশেষজ্ঞের সাহায্য গ্রহণ করুন।