Union Budget 2025: আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫ পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। মোদী সরকারের এই মেয়াদের এটিই প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট। ফলে এই বাজেট নিয়ে করদাতাদের বেশ কিছু প্রত্যাশা রয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারেও তাঁরা চাইছেন যাতে করের হার কমানো হয়। এর পাশাপাশি বিনিয়োগের মাধ্যমে কর ছাড় বাড়ুক- চাইছেন মধ্যবিত্তরা।
৮০সি ধারা: ছাড়ের সীমা বাড়ুক, বলছেন করদাতারা
80C এখনও বহু করদাতার কর বাঁচানোর সবচেয়ে পছন্দের ব্যবস্থা। এর অধীনে নির্দিষ্ট বিনিয়োগ ও ব্যয়ের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ₹১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়া যায়। LIC, PPF-এর মতো বিনিয়োগ করলে এই সুবিধা মেলে।
তবে করদাতাদের অভিযোগ, এই ১.৫ লক্ষ টাকার সীমাটা বহুদিন ধরেই অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে বর্তমান সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এটা বাড়ানো উচিত বলে মনে করছেন অনেকেই।বিশেষজ্ঞদের একাংশের প্রস্তাব, এই সীমা ২ লাখ টাকা করা যেতে পারে। শেষবার ২০১৪ সালে, তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এই ঊর্ধ্বসীমা ১.৫ লক্ষ টাকা স্থির করেছিলেন।
80D ধারা: স্বাস্থ্যবিমায় কর ছাড়
80D-র মূল লক্ষ্য কিন্তু স্বাস্থ্যবিমায় কর ছাড়। ভারতে সাধারণ মানুষের মধ্যে মেডিক্যাল ইন্স্যুওরেন্স করার প্রবণতা বাড়ানোই এই 80D-তে ছাড় দেওয়ার মূল লক্ষ্য। বর্তমানে, ৬০ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিরা বছরে ২৫,০০০ টাকা এবং প্রবীণ নাগরিকরা ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পেতে পারেন। এর পাশাপাশি, স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাবদ ₹৫,০০০ পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়।
তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসার খরচা প্রচুর। ফলে মোটা টাকার স্বাস্থ্যবিমা না করলে কোনও লাভ নেই। সেই হিসাবে এই কর ছাড় এখন অনেকটাই কম বলে মনে করছেন তাঁরা।
ফিউচার জেনারালি ইন্ডিয়া ইনসিওরেন্স কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনুপ রাউ বলছেন, 'স্বাস্থ্যবিমার কর ছাড়ের সীমা বাড়ানো প্রয়োজন। নয়া কর ব্যবস্থায় এটি যোগ করা হলে স্বাস্থ্য পরিষেবা সর্বস্তরে পৌঁছে দেওয়াও সহজ হবে।'
বিশেষজ্ঞদের মতামত
ওয়ান ফিনান্স-এর পার্সোনাল ট্যাক্স বিভাগের প্রধান নিয়তি শাহের মতে, 80C ধারা ও 80D-তে ছাড়ের সীমা বৃদ্ধি করলে করদাতারা আরও বেশি সঞ্চয় ও বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন।
গ্যালাক্সি হেলথ ইনসিওরেন্স-এর এমডি জি শ্রীনিবাসন বলেছেন, '৮০ডি-তে ছাড়ের সীমা ₹৫০,০০০ থেকে বাড়িয়ে অন্তত ১ লাখ টাকা করা উচিত। এটা করলে স্বাস্থ্যবিমা করার প্রবণতা বাড়বে।'
পিবি ফিনটেক-এর প্রেসিডেন্ট রাজীব গুপ্তর মতে, মেডিক্যাল ইন্স্যুওরেন্স খাতে বিনিয়োগের জন্য কর ছাড় দিলে সাধারণ মানুষের চিকিৎসার খরচ মেটানোও সহজ হবে।
ফলে, কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫ ঘিরে করদাতাদের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। একদিকে সবাই চাইছেন যাতে কর ছাড়ের সীমা বাড়ানো হয়। অন্যদিকে নতুন কর ব্যবস্থায় বিনিয়োগ সংক্রান্ত ছাড়ের পক্ষেও সওয়াল করছেন অনেকে। সাধারণ মানুষের এই আশা পূরণ হয় কিনা, তা আসন্ন বাজেটেই জানা যাবে।
দ্রষ্টব্য: শেয়ার, বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলি বাজার পর্যবেক্ষণ মাত্র। এগুলি বিনিয়োগের পরামর্শ নয়। বাজারে বিনিয়োগের আগে অবশ্যই পড়াশোনা করুন এবং বিশেষজ্ঞের সাহায্য গ্রহণ করুন।