আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। হাইভোল্টেজ ভোটের বছর। সব কিছু ঠিক থাকলে প্রায় আর একবছর পরেই বিধানসভা ভোট। তাই এবারের রাজ্য বাজেটে প্রচুর চমক থাকবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিকেল ৪টেয় বিধানসভায় বাজেট পেশ করবেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
ভোটের আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট
গতবার অর্থাত্ ২০২৪ সালে ছিল লোকসভা ভোট। বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করে মমতা সরকার। রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ ৪ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্তও ঘোষণা করা হয়েছিল। এবারের বাজেটে আশা করা হচ্ছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ একাধিক প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানো হতে পারে।
জনমুখী বাজেট হবে বলে দবি শোভনদেবের
বাজেটের অভিমুখ কী হবে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। মন্ত্রী বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছেন। তাই তিনি সবসময় নিজেকে মাটির কাছাকাছি রাখার চেষ্টা করেন। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমাদের সরকারের প্রথম লক্ষ্য ছিল, সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষজনকে আর্থিক দিক থেকে স্বাবলম্বী করে তোলা। আসলে আর্থিকভাবে যাঁরা সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছেন তাঁদের উন্নতি না করতে পারলে সমাজের সার্বিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব নয়। শুধু সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশই নয়, ছাত্র, যুব, কর্মী, শ্রমিক, মহিলা-সহ সমাজের সর্বস্তরকেই উপকৃত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এবারের বাজেটের অভিমুখও সেদিকেই থাকবে।'দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, 'পরিকাঠামো উন্নয়ন, সর্ব স্তরের মানুষের জন্য স্বস্তিদায়ক পরিবেশ এবং সামাজিক সুরক্ষার যে নীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার চলে, বাজেটে তার প্রতিফলন নিশ্চয়ই থাকবে।'
শুধু ভাতা বাড়ালে হবে না
অন্যদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, 'বাংলার মানুষের চাহিদা মতো কিছু থাকে কি না, দেখা যাক। শুধু ভাতা বাড়ালে হবে না। পাঁচশো টাকা ভাতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যেটা এখন দেবেন না, ভোটের আগে রূপায়িত হবে। থাকতে পারে ৩% ডিএ , আমি বলার পরে সেটা ৪% দিতে পারে। আমরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ চাইছি। চাকরির কথা কিছু থাকবে না। তবে অনেক দিন পরে শিল্প-শিল্প থাকবে।'