মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের তরফে আন্দোলনকারীদের বৈঠকে বসার কোনও আহ্বান জানানো হয়নি। অভিযোগ সরকারি কর্মীদের একাংশের তথা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের। তাঁদের অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশ মতো রাজ্য সরকারের কাছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিদের নাম পাঠানো হয়েছিল। তবে সরকারের তরফ থেকে কোনও সাড়া মেলেনি।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আশঙ্কা, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সংগঠনের সঙ্গে সরকার বৈঠকে বসতে পারে। তবে তার পরিণতি ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ারি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের। এই বিষয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, 'মহামান্য হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ১৭ তারিখের মধ্য়ে বৈঠকে বসে তার রিপোর্ট জমা দিতে। ১৭ তারিখেই এই মামলা রয়েছে হাইকোর্টে। অথচ রাজ্য সরকারের তরফে আমাদের আহ্বান করা হয়নি। কোর্টের নির্দেশ মতো আলোচনায় বসার জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম। তবে সরকার কোর্টের নির্দেশ অমান্য করেছে। এটা নিয়ে কোর্টে যেমন লড়াই চলবে, তেমনই লড়াই চলবে রাস্তাতেও।'
ভাস্কর ঘোষের আরও সংযোজন, 'আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি তৃণমূলের কর্মী সংগঠনের সঙ্গে সরকার আলোচনায় বসতে পারে। তাতে সরকারি কর্মীদের স্বার্থের হানি ঘটবে। এনিয়ে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য, তেমন কোনও মিটিং হলে তা আমরা মানব না। তার আঁচ সরকারকে পেতে হবে।'
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের তরফে ৫ জনের নাম পাঠানো হয়েছে। যদিও এই নিয়ে ডিএ-র মামলাকারী সংগঠন সরকারি কর্মচারী পরিষদ জানিয়েছে, তারা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবে না। কারণ, ডিএ মামলাটি এখন বিচারাধীন।
এই নিয়ে সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি বলেন, 'সরকারের সঙ্গে আলোচনায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ যাচ্ছে কি না জানা নেই। তবে আমাদের সংগঠনের তরফে সেই আলোচনায় কেউ থাকবেন না। আমাদের আইনজীবীদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তাঁদের পরামর্শ মতোই আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা থেকে নিজেদের বিরত রাখছি। কারণ, মামলাটি এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।'
এর আগে গত ৬ এপ্রিল ডিএ সংক্রান্ত এক মামলার প্রেক্ষিতে সরকারকে আলোচনায় বসার মৌখিক নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি।