Advertisement

West Bengal: বাংলার অর্থনীতি তলানিতে, কবে থেকে শুরু হয়েছে অবনতি? উদ্বেগজনক রিপোর্ট

রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশের GDP-র পশ্চিমবঙ্গের অবদান ছিল একসময় তৃতীয় বৃহত্তম। ১৯৬০-৬১ সালে GDP-তে ১০.৫ শতাংশ অবদান ছিল পশ্চিমবঙ্গের। ২০২৩-২৪ সালে তা কমে হয়েছে মাত্র ৫.৬ শতাংশ।

পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিপশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 18 Sep 2024,
  • अपडेटेड 9:43 AM IST
  • পূর্ব ভারতের অবস্থা উদ্বেগজনক
  • পশ্চিমবঙ্গের মাথাপিছু আয় শোচনীয়
  • দক্ষিণের রাজ্যগুলির পরিস্থিতি ভাল

শেষের শুরুটা হয়েছিল ৬০-এর দশকের শেষের দিকে। আপাতত যা পরিস্থিতি, তাকে তলানিতে বললেও অত্যুক্তি হয় না। কথা হচ্ছে পূর্ব ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের। একদা ভারতের অর্থনীতিতে 'রাজ' করা পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক অবস্থা করুণ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। এমনই আশঙ্কাজনক রিপোর্ট দিল প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিল ((EAC-PM)। রাজ্যের কিছু প্রকল্প যখন কেন্দ্রের সেরা তালিকায় স্বীকৃতি পায়, তখন যেমন তা আনন্দের খবর হয়,  EAC-PM রিপোর্ট ততটাই উদ্বেগের। 

পূর্ব ভারতের অবস্থা উদ্বেগজনক

EAC-PM বা প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য সঞ্জীব সান্যালের লেখা ওই রিপোর্ট বলছে, ভারতের পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের হার বেশ উদ্বেগজনক।  'Relative Economic Performance of Indian States: 1960-61 to 2023-24' শীর্ষক ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, উপকূলীয় রাজ্যগুলির আর্থিক উন্নয়ন ভাল নয়। পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক উন্নয়নের হার গত বেশ কয়েক দশক ধরে ক্রমাগত কমেছে। 

পশ্চিমবঙ্গের মাথাপিছু আয় শোচনীয়

রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশের GDP-র পশ্চিমবঙ্গের অবদান ছিল একসময় তৃতীয় বৃহত্তম। ১৯৬০-৬১ সালে GDP-তে ১০.৫ শতাংশ অবদান ছিল পশ্চিমবঙ্গের। ২০২৩-২৪ সালে তা কমে হয়েছে মাত্র ৫.৬ শতাংশ। ক্রমাগত কমেছে দশকের পর দশক ধরে। পেপারে বলা হয়েছে, 'পশ্চিমবঙ্গের মাথাপিছু আয় ১৯৬০-৬১ সালে যেখানে ছিল জাতীয় গড়ের ১২৭.৫ শতাংশ। তারপর জাতীয় স্তরে যে প্রবণতায় উন্নয়ন হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের গতি সেই তুলনায় অতি স্লথ। ২০২৩-২৪ সালে বাংলায় মাথাপিছু আয় কমে হয়েছে ৮৩.৭ শতাংশ। তথাকথিত পিছিয়ে পড়া রাজ্যের তালিকায় থাকা রাজস্থান ও ওড়িশার চেয়েও নীচে।'

পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের রিপোর্ট

বিহারের অবস্থা কিন্তু স্থিতিশীল গত দু দশকে। যদিও অন্যান্য রাজ্যগুলির তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। এবং দ্রুত উন্নতি প্রয়োজন। রিপোর্ট বলছে, গত কয়েক বছরে ওড়িশার আর্থিক উন্নয়নের হার চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। ভারতের পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্যগুলির আর্থিক বৃদ্ধির হার তুলনামূলক ভাল। 

দক্ষিণের রাজ্যগুলির পরিস্থিতি ভাল

১৯৯১ সালের পর থেকে বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলির অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার চোখে পড়ার মতো। ২০২৩-২৪ সালের হিসেব বলছে, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলিঙ্গানা, কেরল ও তামিলনাড়ু-- পাঁচ রাজ্য একত্রে ভারতের মোট জিডিপি-র ৩০ শতাংশ অবদান। বস্তুত, ১৯৯১ সালের পর থেকে ভারতে উদার অর্থনীতি চালু হয়।  

Advertisement

মাথাপিছু আয়ে সেরা দিল্লি

রিপোর্ট অনুযায়ী, জাতীয় গড় আয়ের নিরিখে ১৯৯১ সালের পর থেকে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলির মাথাপিছু আয়ও ক্রমাগত বেড়েছে। উত্তরে দিল্লি ও হরিয়ানাও ভাল জায়গায় রয়েছে। মাথাপিছু আয় সবচেয়ে বেশি রাজধানী দিল্লির। 

শিল্পে বাংলার ক্রমাগত অবনতি

৬০-এর দশকে মহারাষ্ট্র, দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প ক্লাস্টার ছিল পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ু। রিপোর্টে লেখা, '১৯৯১ সালের পর থেকে মহারাষ্ট্র স্থায়ী পারফর্ম্যান্স রেখে চলেছে, অর্থাত্‍ কমেনি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ ক্রমাগত নীচের দিকে গিয়েছে।' 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement