রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর। রাজ্যের বাজেট অধিবেশন শুরু হবে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। শেষ হওয়ার কথা ১৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই সরকারি কর্মীদের মুখে হাসি। তাঁদের অ্যাকাউন্টে মোটা টাকা ঢুকল। গতকাল মঙ্গলবার থেকে বর্ধিত হার-সহ মোট ১০ শতাংশ হারে ডিএ ঢুকল।
সরকারি কর্মীদের একাংশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে বেতনের সঙ্গে ডিএ-র টাকা ঢুকতে শুরু করেছে। গত ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ৬ শতাংশ হারে ডিএ পেয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। তবে গত মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ১০ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়া হবে। অর্থাৎ ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করে রাজ্য সরকার। সেই সব মিলিয়ে ১০ শতাংশ হারে ডিএ পেতে শুরু করেছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা।
বর্তমানে রাজ্য সরকারের গ্রুপ ডি কর্মীরা ন্যূনতম যদি ১৭ হাজার টাকা বেসিক বেতন পেয়ে থাকেন তাহলে ১০ শতাংশ ডিএ সেই বেসিক পে-এর ওপর ধার্য করা হবে। অর্থাৎ বেসিক পে ও ডিএ বাবাদ তিনি পাবেন ১৮ হাজার ৭০০ টাকা। এছাড়াও অন্য সব অ্যালাউন্স যুক্ত হয় বেতনের সঙ্গে। সরকারি কর্মীদের প্রতি বছর ৩ শতাংশ করে ইনক্রিমেন্ট হয়ে থাকে। সেই অনুযায়ী, একজন সরকারি কর্মী যতদিন চাকরি করছেন সেই বছর গুণিতক ৩ শতাংশ টাকাও ঢুকবে অ্য়াকাউন্টে।
লোয়ার ডিভিশন ক্লার্কদের ক্ষেত্রে বেসিক পে ২৩ হাজার টাকার কাছাকাছি। এই আবহে তাঁদের ক্ষেত্রে মাস গেলে ২৩০০ টাকা পর্যন্ত ডিএ বাবদ ঢুকতে পারে। সঙ্গে রয়েছে অন্য অ্য়ালাউন্স এবং ইনক্রিমেন্টের টাকা। এদিকে বিডিও-দের ক্ষেত্রে বেসিক পে শুরু হয় ৫৬ হাজার টাকা থেকে। তাহলে তাঁরা এই বেসিক পে-র উপর ১০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পাবেন। সঙ্গে রয়েছে অন্য অ্য়ালাউন্স এবং ইনক্রিমেন্টের টাকা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন, এই বর্ধিত হারে ডিএ ১৪ লাখ সরকারি কর্মী ও পেনশনার পাবেন। সরকারের খরচ হবে ২৪০০ কোটি টাকা। এর আগে তাঁদের সরকার ১২৫ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছিল। আর নতুন ঘোষণার পর থেকে ডিএ বেড়ে হল ১৩৫ শতাংশ। মুখ্যমন্ত্রী আরও দাবি করেন, কেন্দ্রের ডিএ নীতি ও রাজ্যের নীতি আলাদা। তাই কেন্দ্রের সঙ্গে ডিএ-র তুলনা করলে চলবে না। ডিএ দেবে কি দেবে না তা রাজ্য সরকারের ঐচ্ছিক বিষয়। তা কখনও বাধ্যতামূলক নয়।