Advertisement

West Bengal DA Update : ১ জানুয়ারি থেকে ৪ শতাংশ ডিএ কার্যকর, কত টাকা বেশি ঢুকবে রাজ্যের কর্মীদের অ্যাকাউন্টে?

৪ শতাংশ হারে ডিএ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতে খুশি সরকারি কর্মীদের একাংশ। এর ফলে কত টাকা বেেশি পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা ?

Dearness allowance
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 21 Dec 2023,
  • अपडेटेड 6:58 PM IST
  • কত টাকা ঢুকবে সরকারি কর্মীদের অ্য়াকাউন্টে ?
  • কত টাকা বেশি পাবেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা?

রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারি কর্মী-অশিক্ষক কর্মী-শিক্ষক সবার জন্য আরও ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করছেন। ফলে এখন ১০ শতাংশ ডিএ অ্যাকাউন্টে ঢুকবে সরকারি কর্মীদের।  মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এতে ১৪ লাখ সরকারি কর্মী ও পেনশনার উপকৃত হবেন। সরকারের খরচ হবে ২৪০০ কোটি টাকা। এর আগে তাঁদের সরকার ১২৫ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছিল। আর নতুন ঘোষণার পর থেকে ডিএ বেড়ে হল ১৩৫ শতাংশ। মুখ্যমন্ত্রী আরও দাবি করেন, কেন্দ্রের ডিএ নীতি ও রাজ্যের নীতি আলাদা। তাই কেন্দ্রের সঙ্গে ডিএ-র তুলনা করলে চলবে না। ডিএ দেবে কি দেবে না তা রাজ্য সরকারের ঐচ্ছিক বিষয়। তা কখনও বাধ্যতামূলক নয়। 

মুখ্যমন্ত্রী এই ঘোষণা তো করলেন কিন্তু এতে কি আদৌ খুশি সরকারি কর্মীরা? আপনারা জানেন যে, ডিএ-র দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করছে সরকারি কর্মচারী পরিষদ, কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ, ইউনিটি ফোরাম। আবার রাস্তায় আন্দোলন করছে সমগ্রামী যৌথ মঞ্চ, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের মতো একাধিক বড় সংগঠন। তাঁদের বক্তব্য, এই ডিএ ঘোষণায় তাঁরা খুশি নন। তাঁদের যুক্তি, কেন্দ্রীয় সরকার এখন ৪৬ শতাংশ হারে ডিএ দিচ্ছে। এই অবস্থায় রাজ্য দিচ্ছে মাত্র ১০ শতাংশ। তাহলে ফারাক হল ৩৬ শতাংশ। তাঁরা এত কম ডিএ দাবি করেননি। তাঁরা AICPI অনুযায়ী বকেয়া দাবি করে আসছেন। সেজন্যই তাঁদের আন্দোলন। 

এই নিয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ভাস্কর ঘোষ বলেন, 'এই ডিএ ভিক্ষার মতো। আমি এটা প্রত্যাখান করছি। যেথানে কেন্দ্রীয় সরকার এত টাকা দিচ্ছে সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সামান্য ডিএ ঘোষণা করে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছেন সরকারি কর্মীদের। আমাদের চাপে পড়েই সরকার এই ঘোষণা করেছে।'

এই বিষয়ে সরকারি কর্মচারী পরিষদের দেবাশিস শীল বলেন, 'আমরা ডিএ নিয়ে আন্দোলন করছি। সুপ্রিম কোর্টেও মামলা লড়ছি। ১০ শতাংশ ডিএ দিয়ে কী হবে। কেন্দ্রের সঙ্গে ফারাক বেড়ে হল ৩৬ শতাংশ। এত ফারাক মানে একজন সাধারণ কর্মচারীর অ্যাকাউন্টে ৭২০০ টাকা কম ঢুকবে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।'  

Advertisement

রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটির বিশ্বজিৎ গুপ্ত চৌধুরী বলেন, 'রাজ্য সরকার আমাদের ডিএ দিয়ে কোনও দয়া করেনি। এটা হকের পাওনা। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, মহার্ঘ ভাতা দেবেন না। তবে আমরা যে আন্দোলন করেছিলাম তার জেরে আজ তিনি ডিএ দিতে বাধ্য হলেন। তবে এটাতে আমরা সন্তুষ্ট নয়।' 

রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাধিক সংগঠন এই ডিএ-র বিরোধিতা করলেও তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের চেয়ারম্যান মানস ভুঁইয়া দাবি করছেন, এই ডিএ বৃদ্ধির ফলে সরকারি কর্মীরা খুশি। কেন্দ্রের কাছে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা বকেয়া আছে রাজ্যের। সেই টাকা যদি কেন্দ্র মিটিয়ে দেয় তাহলে হয়তো মুখ্যমন্ত্রী আরও ঘোষণা করবেন। 

তবে সরকারি কর্মীদের একাধিক সংগঠন যে এই ডিএ বৃদ্ধির ফলে খুশি নন, তা কার্যত পরিষ্কার। তবে রাজনৈতিক মহল এটাও মনে করছে, এই ডিএ ঘোষণার ফলে সরকারি কর্মীদের ক্ষোভ অনেকটাই প্রশমিত হল। লোকসভা ভোটের আগে এটা একটা মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement