রাজ্য বাজেটে বাংলার বাড়ি নিয়ে বড় ঘোষণা সরকারের। বাজেটে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হল ৯,৬০০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় ১৬ লক্ষ নতুন বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় আবাস যোজনায় অর্থ বরাদ্দ সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য সরকারের অভিযোগ ছিল। কেন্দ্রের কাছে টাকা পাওয়ার দাবি জানানো হলেও এখনো সেই টাকা পুরোপুরি মেলেনি বলে বারবার জানিয়েছে রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার নিজের উদ্যোগে বাংলার গৃহহীনদের জন্য ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প শুরু করে। প্রথম পর্যায়ে ১২ লক্ষ পরিবারকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়। প্রতিটি পরিবারকে প্রথম কিস্তিতে ৬০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, বাজেটে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই ঘাটাল ও আশপাশের এলাকায় বন্যা ও জলনিকাশি সমস্যা ছিল, যা সমাধানে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এবারের বাজেটে আরও একটি নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে - ‘নদীবন্ধন’। নদী সংলগ্ন এলাকার মানুষের উন্নয়নের জন্য এই প্রকল্পে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। নদীভাঙন ও প্লাবনপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের সুবিধা দিতেই এটি চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য।
এছাড়া, রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৪% ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল ২০২৫ থেকে এটি কার্যকর হবে। ফলে সরকারি কর্মচারীদের বেতন আরও বাড়বে।
বাংলার বাড়ি প্রকল্পের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ এবং নতুন বাড়ি তৈরির উদ্যোগ ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে সত্যিই তাৎপর্যপূর্ণ।