টাকা দিলেই ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া হচ্ছে নম্বর। এমনটাই অভিযোগ তুলে ও সরব হয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে চলল বিক্ষোভ অবস্থান।
কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা চার ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কক্ষে। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ মালদার চাঁচল কলেজের ঘটনা। তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস চাঁচল কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান অধ্যক্ষ অজিত বিশ্বাসের।
মূলত,করোনা কারনে বন্ধ রয়েছে কলেজে পঠনপাঠন।অনলাইনের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন পাঠন ও পরীক্ষা চলছে।পড়ুয়াদের অভিযোগ ,চাঁচল কলেজের আরবি ও বাংলা বিভাগের শিক্ষকরা টাকার বিনিময়ে পূর্ণ নম্বর দিচ্ছেন।যেসমস্ত ছাত্রছাত্রী তাদের কাছে টিউশনি পড়বে সঠিক নম্বর দেওয়া হবে তাদের।
বিনিময়ে কারোও কাছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি শিক্ষকরা ছাত্র ছাত্রীদের সাথে শিক্ষাক্ষেত্রে খারাপ সুলভ আচরণ করছেন।একাধিক অভিযোগ তুলে চাঁচল কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান অধ্যক্ষ অজিত বিশ্বাসের অফিসে ঢুকে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেন কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে টিএমসিপি কর্মীরা।
প্রায় চার ঘন্টা ধরে চলে বিক্ষোভ। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক ছাত্র অভিযোগ,কয়েকদিন ধরেই টাকার বিনিময়ে ঘনিষ্ঠ ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা নির্ধারণ করা হচ্ছে।
সরকার বেতন দিচ্ছে আমাদের পড়ানোর জন্য কিন্তু টাকার বিনিময়ে নম্বর বন্টন করা হচ্ছে। তাই আমরা আজ ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছি।কলেজ কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
চাঁচল-১ নং ব্লক টিএমসিপির সভাপতি গোলাম মোস্তফার অভিযোগ,আমরা সূত্র মারফত জানতে পারলাম প্রথম সেমিস্টারের বাংলা ও আরবি বিভাগের কয়েকজন ছাত্র ছাত্রীকে টাকার বিনিময়ে নম্বর দিচ্ছে শিক্ষকরা। তিনশো থেকে চারশো টাকার বিনিময়ে ঘনিষ্ঠ ছাত্রছাত্রীদের নম্বর দিচ্ছে।ফলে মেধারা পিছিয়ে যাচ্ছে।এমন কার্যকলাপ রুখতে বিক্ষোভ দেখিয়েছি।
যদিও চাঁচল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অজিত বিশ্বাস জানিয়েছেন,আমি বিষয়টি দেখছি। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অবশেষে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের আশ্বাস পেয়ে অবস্থান তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।