ঢালাও পাশের জের। কলেজে কলেজে ভর্তির সংকট দেখা দিয়েছে। মালদায় গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলিতে ভর্তি নিয়ে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ। এখন আসন না বাড়ালে কোনও কলেজেই আবেদনের অর্ধেক ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি নেওয়া সম্ভব নয়। সেই সঙ্গে সবারই নম্বর ভাল। ফলে কাউন্সেলিং করতে গিয়ে গলদঘর্ম হতে হবে বলে মনে করছে কলেজগুলি।
ভর্তিতে সংকটের মুখে ছাত্রছাত্রীরা
কলেজে ভর্তি নিয়ে চরম সঙ্কটে তিন জেলার ছাত্র ছাত্রীরা। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়েছে কলেজগুলি। ঢালাও পাশের জেরে এবারে ভর্তির জন্যে ফর্ম ফিলাপ গত বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশের বেশি হয়েছে।
বিপুল সংখ্যক আবেদনে ঘুম উড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের
আর এটাই এখন কলেজ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মাথা ব্যথার কারণ। এত বিপুল সংখ্যার ছাত্র ছাত্রীকে কোথায় জায়গা দেবে তা নিয়ে উদবিগ্ন সব কলেজ কর্তৃপক্ষ। সীমিত আসন। এদিকে ভর্তি না হতে পেরে চিন্তায় ছাত্র ছাত্রীরাও।
পছন্দসই বিষয় তো দূর ভর্তি হতে পারবেন কি না, তাও বুঝতে পারছেন না
ইচ্ছে মত কলেজ বা সাবজেক্টে অনার্স নেওয়া দূরের কথা আদৌও কোনও কলেজে ভর্তি হতে পারবে কি না, সেটাই এখন সব থেকে বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক ছাত্রী সৌমিত্রা ঝা জানান, সমস্ত ছাত্রছাত্রী পাশ করায় ভর্তির ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ইচ্ছেমতো অনার্স পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এর ওপর আসন সংখ্যা একটা বড়ো ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কারন সবাই চায় অর্নাস নিয়ে পড়তে। সে ক্ষেত্রে কে অনার্স পাবে আর কে পাবে না বুঝতে পারা যাচ্ছে না।
ভাল-মন্দের ব্যবধান ঘুচে গিয়েছে
ভালো ছাত্রছাত্রী আর ভালো নয় এর মধ্যে ব্যবধান এবার ঘুচে গিয়েছে। ফলে প্রকৃত মেধাবীরা এবার বঞ্চিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পছন্দ মতো বিষয় নিয়ে পড়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্ভাবনায় পড়েছে তারা। সেক্ষেত্রে ভালোর তকমাটা হয়তো উঠে যেতে বসবে। ছাত্রছাত্রীদের দাবি, এর সঠিক সমাধান করুক বিশ্ববদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা রাজ্য সরকার। এতে বহু ছাত্রছাত্রী উপকৃত হবে।
শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা বলে আসন বাড়ানোর ভাবনা
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অপূর্ব চক্রবর্তী জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি ফর্ম ফিলাপ হয়েছে। তিন জেলা মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের সব কলেজেই। গতবারের তুলনায় মালদাতেই হয়েছে ৫১ শতাংশের বেশি। বাকি দুই জেলাতেও কাছে পিঠে একই অবস্থা। ইতিমধ্যে তিন কলেজের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তবে তাঁর আশ্বাস, ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তির ব্যবস্থা করা হবেই। বিকল্প পথ ভাবা হচ্ছে। প্রয়োজনে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে বাড়ানো হবে আসন সংখ্যা।