শিক্ষা ঋণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন নির্দেশিকার গেরোয় স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণ পেতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। সমস্যা ব্যাপক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে বেসরকারি ব্যাংক এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ক্ষেত্রে।
অর্থমন্ত্রকের নির্দেশিকায় সমস্যা
চলতি বছরের ১৮ অগাস্ট অর্থ মন্ত্রক থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, 'বিদ্যালক্ষী' পোর্টালের মাধ্যমে শিক্ষা ঋণ নিতে হবে। কোনও ব্যাঙ্ক থেকে শিক্ষা ঋণের আবেদন করা হবে। সেই ব্যাঙ্ক কর্তৃক আবেদন এবং সমস্ত তথ্য আপলোড করা হবে।
৭৯ হাজারের বেশি স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের আবেদন
ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের কথা ঘোষণা করেছেন। ২৯ অগাস্ট পর্যন্ত ৭৯ হাজারের বেশি স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের আবেদন জমা পড়েছে। ঋণের পরিমাণ ৩ কোটি ৪৬ হাজার টাকার বেশি।
অ্যাকাউন্ট তুলে নেওয়ার ভাবনা রাজ্যের
সবথেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তে। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলির ক্ষেত্রে ঋণ মঞ্জুর এর বিষয়টি নিয়ে গরিমসি করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ নবান্ন। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে রাজ্য সরকারের যে অ্যাকাউন্ট আছে তা তুলে নেওয়া হবে এমন ভাবনায় রয়েছে নবান্ন।
স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ঋণ দিচ্ছে না
স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক যদি সাহায্য না করে, তাহলে এই কঠিন পথে হাঁটতে পারে রাজ্য সরকার। দুটো বিষয়ের ওপরই নির্ভর করে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ঋণ রাষ্ট্রায়ত্ত বা বেসরকারি ব্যাংক দিচ্ছে না।
শিক্ষা ঋণ নিতে হবে 'বিদ্যালক্ষী' পোর্টালের মাধ্যমে
'বিদ্যালক্ষী' পোর্টালের মাধ্যমে শিক্ষা ঋণ নিতে হবে। এই বিষয়টিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনও গ্রিন সিগন্যাল আসেনি। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে শিক্ষা ঋণের সুদের হার অপরিবর্তিত রাখতে বলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় বর্তমান রেপো রেটের উপরে শিক্ষা ঋণ দেওয়া হবে জানানো হয়েছে।