Women Higher Education: উচ্চ শিক্ষায় ছাত্রীদের তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে অসম উপস্থিতি বিশ্বব্যাপী এক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে তালিকাভুক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি অসম। যেখানে মহিলারা আর্থ-সামাজিক এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক গঠনের কারণে সীমাবদ্ধ। এবং খুব কমই কলেজে পড়ার সুযোগ পান।
উচ্চ শিক্ষায় সাম্যের বাতাস: বিশ্বের দৃষ্টিকোণ
আইআইই (IIE) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, আজ ১১৪টি দেশে উচ্চশিক্ষার পড়ুয়াদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছাত্রীরা।
উচ্চ শিক্ষায় মহিলাদের তালিকাভুক্তির বৃদ্ধি তাদের বিশ্বব্যাপী অ্যাকাডেমিক গতিশীলতাকেও বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও একটি মন্থর গতিতে।
একটি সমীক্ষা অনুসারে, ২০১২ সালে ৪৮ শতাংশ মহিলা বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে যা ৪৪ শতাংশ ছিল।
ভারতের ছবি
অল ইন্ডিয়া সার্ভে অন হায়ার এডুকেশন (AISHE) ২০১৯-২০ অনুসারে, ছাত্রীদের মোট তালিকাভুক্তির অনুপাত দাঁড়িয়েছে ২৭.৩%, যা ছাত্রদের তুলনায় বেশি, সেটা হল ২৬.৯%।
এটি ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৯-২০ পর্যন্ত উচ্চ শিক্ষায় ছাত্রীদের মোট নথিভুক্তির অনুপাতের সামগ্রিক ১৮% বৃদ্ধি তুলে ধরেছে।
সমীক্ষার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, গত পাঁচ বছরে এমএ, এমকম এবং এমএসসি স্তরে ছাত্রীদের তালিকাভুক্তি বৃদ্ধি হয়েছে।
ভারত ২০১৮-১৯ সালে ১০০-এর বিপরীতে ১.০১-এ গিয়ে ২০১৯-২০ সালে উচ্চশিক্ষায় জেন্ডার প্যারিটি ইনডেক্স (GPI) উন্নতি হয়েছে।
জিপিআই-এর উন্নতির মানে দাঁড়ায় সংশ্লিষ্ট বয়সের বিচারে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ বেশি পাচ্ছে।
আরও যা জানা যাচ্ছে
এই ইতিবাচক পরিসংখ্যানগুলো ভারতীয় পরিবারের আর্থ-সামাজিক গতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়। যা উচ্চ শিক্ষায় মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য বর্ধিত সুযোগের প্রতিফলন করে।
গবেষণাটি প্রমাণ করে যে কীভাবে পরিবারের ঊর্ধ্বমুখী আর্থ-সামাজিক গতিশীলতা বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণকারী নারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধির দিকে নিয়ে যায়।
লিঙ্গ, বিদেশে লেখাপড়া এবং মা-বাবার সামাজিক শ্রেণির মধ্যে সম্পর্ক বোঝার জন্য করা একটি সমীক্ষা অনুসারে, ভারতে, উচ্চ শিক্ষিত মা-বাবার পটভূমি থেকে আসা ছাত্রীদের বিদেশে পড়াশোনা করতে "অনুমতি" বা "উৎসাহিত" হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
সমীক্ষায় নারী শিক্ষার্থীদের এবং তাঁদের মায়েদের শিক্ষার মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ককেও জোর দেওয়া হয়েছে। যেখানে বিদেশে লেখাপড়া করছেন এমন পড়ুয়াদের মধ্যে ৫৪ শতাংশ ছাত্রের মা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন। সেখানে ৮০ শতাংশ ছাত্রীর মা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া।
তবে STEM-এর ক্ষেত্রে লিঙ্গ ব্যবধান তীব্র। বিশ্বের ৩০%-এরও কম গবেষক নারী। সারা দুনিয়ায় এই ছবি।
ইউনেস্কো ইনস্টিটিউট ফর স্ট্যাটিস্টিকস (ইউআইএস) অনুসারে, ভারতে মহিলারা STEM-এর গবেষকদের মধ্যে ১৫%-এরও কম। এই পরিসংখ্যানটি অত্যন্ত খারাপ এবং উদ্বেগজনক। কারণ ভারত বিশ্বব্যাপী মহিলা STEM স্নাতক তৈরিতে শীর্ষে রয়েছে। এই ছবিটা খুবই কঠিন যে ভারতে STEM স্নাতক আছেন, কিন্তু গবেষক নেই।
কিন্তু সময় পরিবর্তন হচ্ছে। এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে STEM নিয়ে লেখাপড়া করা ভিন দেশের ছাত্রীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যাই তা বলছে। বিশেষ করে মাস্টার্স স্তরে তাঁদের উপস্থিতি।
ভারত সরকারও STEM লিঙ্গ ব্যবধান বন্ধ করার চেষ্টা করছে। এদিকের এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হল STEM-এ মহিলাদের জন্য ইন্দো-ইউএস ফেলোশিপ, যা ভারতীয় মহিলা বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার এবং প্রযুক্তিবিদদের ৩-৬ মাসের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবেষণা করার সুযোগ দেয়।