মুর্শিদাবাদে স্কুলে ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ মামলায় এবার আরও কড়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর (Justice Biswajit Basu)। বৃহস্পতিবার বিচারপতি নির্দেশ দেন, ২০১৬ সালের পরে সমস্ত রাজ্যের সব জেলায় যত সরকারি স্কুল আছে, তাতে যতজন নিয়োগ হয়েছেন, সেই সমস্ত নিয়োগ পদ্ধতি খতিয়ে দেখতে হবে সংশ্লিষ্ট জেলার ডিআই-কে। বিচারপতির এই নির্দেশে রীতিমতো চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে শিক্ষামহলে।
বৃহস্পতিবার এজলাসে মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রশ্ন করেন, 'একজন ভুয়ো শিক্ষক তিন বছর ধরে চাকরি করছেন, আর সেই জেলার ডিআই তা জানেন না? কীভাবে সম্ভব'? বাবা প্রধান শিক্ষক, আর সেই স্কুলেই চাকরিরত ছেলে। অভিযোগ, এই নিয়োগে বেনিয়ম হয়েছে। মুর্শিদাবাদের গোথা এয়ার স্কুলের শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারি সুপারিশপত্র মেমো নকল করে চাকরি পেয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তিন বছর ধরে বেতনও নিচ্ছিলেন তিনি। এই ভুয়ো নিয়োগে কোনও নিয়োগপত্রই দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এরপরেই এই নির্দেশ বিচারপতির
এর আগে বুধবার এই মামলার তদন্তভার রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থাকে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতে উপস্থিত ছিলেন সিআইডির ডিআইজি। হাইকোর্টে নির্দেশ দেয়, সিআইডির ডিআইজি-র তত্ত্বাবধানেই এই মামলার তদন্ত চলবে। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে সিআইডি-কে। এদিন বিচারপতি বসু আরও নির্দেশ দেন, অভিযুক্ত শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারি যেন স্কুলে ঢুকতে না পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষক বাবার বেতন বন্ধ করা হবে কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখবে সিআইডি। এখন দেখার আগামিদিনে এই মামলায় আর কী কী দিক উঠে আসে।
প্রসঙ্গত, শিক্ষিক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় গোটা রাজ্য। গ্রেফতার হয়েছেন বেশ কয়েকজন। হকের চাকরির দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা। তারই মাঝে এই ঘটনা নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন - শীতে পুরুষের দুর্বলতা দূর করে-স্ট্যামিনা বাড়ায় কালো খেজুর, আপনিও খেতে পারেন