প্রতিবছরই মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার খবর পাওয়া যায়। পর্ষদের তরফে বহু উদ্যোগ নেওয়া সত্ত্বেও প্রশ্ন ফাঁস রোখা কার্যত সম্ভব হয় না বলে অভিযোগ অনেকের। দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরীক্ষার হল থেকে কোনও পরীক্ষার্থী ছবি তুলে পাঠিয়ে দেয় বাইরের কাউকে। সেখান থেকেই হু হু করে ফাঁস হয়ে যায় প্রশ্ন। তবে ২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় (Madhyamik Exam) তা রুখতে আগে থেকেই সতর্ক মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা রক্ষায় একেবারে নতুন একটি ব্যবস্থা নিচ্ছে পর্ষদ। যে ব্যবস্থায় প্রশ্নপত্রের ছবি পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে বেরোলেই সংশ্লিষ্ট প্রশ্নপত্রটি কোন পরীক্ষার্থীর তা জানা যাবে। মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের (WBBSE) সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রতিটি প্রশ্নপত্রে একটি করে ‘স্বতন্ত্র কোড’ থাকবে। গোটা ব্যবস্থাটি সেই কোডের উপরেই নির্ভরশীল।
কেউ পরীক্ষা শুরুর হওয়ার পর যাতে ছবি তুলে প্রশ্ন না বের করতে পারে, তার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি প্রশ্নপত্রের একটি করে ইউনিক সিরিয়াল নম্বর থাকছে। পরীক্ষার্থী যে প্রশ্নপত্র পাবে, সেই প্রশ্নপত্রের ইউনিক কোডটি তার উত্তরপত্রে ও অ্যাটেন্ডেন্স শিটে লিখে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে কোনও প্রশ্নপত্র বেরিয়ে এলে কোডটি দেখলেই বোঝা যাবে কোন জায়গা থেকে প্রশ্নের ছবি বেরিয়েছে এবং প্রশ্নপত্রটি কার। কোডগুলি এমনভাবে দেওয়া হচ্ছে, যা একনজরে দেখলেই পর্ষদ কর্তারা বুঝে যাবেন প্রশ্নপত্রটি কোন জেলার। তারপর ওই কোডের মাধ্যমেই পর্ষদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ট্র্যাক করে খুঁজে নেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীকে।
প্রশ্নপত্রের যে কোনও পাতার ছবি তুললেই এই কোডের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থী ধরা পড়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে। পর্ষদের দাবি, কোডটা প্রশ্নপত্রের প্রথম পাতার ওপরে থাকার পাশাপাশি প্রতিটি পাতায় এমবেডেড থাকবে। সেক্ষেত্রে যে কোনও পাতার ছবি যে অ্যাঙ্গেলেই তোলা হোক, পর্ষদ ঠিক বের করে ফেলবে কোন পরীক্ষার্থী ছবিটি তুলেছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশন করা ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১২ লক্ষ। পরীক্ষা শুরু হবে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে। চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।