মাদ্রাসায় প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া বৃত্তি বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মাদ্রাসায় প্রথম থেকে পঞ্চম পর্যন্ত শিশুরা ১০০০ টাকা বৃত্তি পেত। পাশাপাশি ষষ্ঠস থেকে অষ্টম বছরের শ্রেণিতে পড়ুয়ারা বিভিন্ন কোর্স অনুযায়ী বৃত্তি পেত।
বলা হচ্ছে যে কেন্দ্রীয় সরকার মনে করে যে শিক্ষার অধিকারের অধীনে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা বিনামূল্যে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও দেওয়া হয়। মাদ্রাসায় মিড-ডে মিল এবং বই বিনামূল্যে দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে বৃত্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আগের মতোই বৃত্তি পেতে থাকবে। তাদের আবেদন নেওয়া হবে। জানা যাচ্ছে, গত বছর উত্তরপ্রদেশে ১৬৫৫৮টি মাদ্রাসায় ৪ থেকে ৫ লাখ শিশু বৃত্তি পেয়েছে। এবারও নভেম্বরে বৃত্তির জন্য আবেদন করেছিল মাদ্রাসার ছেলেমেয়েরা। কিন্তু হঠাৎ করেই বৃত্তি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই বৃত্তি বন্ধ করে দিয়েছে যোগী সরকারও।
উত্তরপ্রদেশে মাদ্রাসার আয়ের উৎস খতিয়ে দেখা হবে
উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকার সম্প্রতি মাদ্রাসার সমীক্ষা চালিয়েছিল। এতে ৮ হাজার ৪৯৬টি মাদ্রাসার স্বীকৃতি পাওয়া যায়নি। জরিপকালে এসব মাদ্রাসার আয়ের উৎস বলা হয়েছে যাকাত (দান)। এমন পরিস্থিতিতে এখন মাদ্রাসাগুলোর আয়ের উৎস অনুসন্ধানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউপি সরকার। বিশেষ করে , নেপাল সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায় বিপুল সংখ্যক অস্বীকৃত মাদ্রাসা পাওয়া গেছে। নেপাল সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায় সিদ্ধার্থনগরে ৫০০টি, বলরামপুরে ৪০০টি, বাহরাইচ ও শ্রাবস্তিতে ৪০০টি, লখিমপুরে ২০০টি, মহারাজগঞ্জে ৬০টি অস্বীকৃত মাদ্রাসা পাওয়া গেছে। এসব মাদ্রাসায় কলকাতা, চেন্নাই, মুম্বই, দিল্লি, হায়দরাবাদ, সৌদি ও নেপাল থেকে জাকাত পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে এখন তাদের আয়ের উৎস খতিয়ে দেখা হবে।