উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। মেধাতালিকার শীর্ষে থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কেউ জানিয়েছেন তিনি ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন আবার কারও মতে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা লেখাপড়া করতেন। তবে শিক্ষাবিদদের মতে, কত ঘণ্টা ধরে কেউ পড়াশোনা করছে তার উপর ফলাফল তেমন নির্ভর করে না। তাহলে কীভাবে লেখাপড়া করা দরকার ? কতক্ষণ-কোন সময় পড়াশোনা করলে ভালো ফল হতে পারে ? আসুন জেনে নিই।
কখন পড়াশোনা করা ভালো?
গবেষণা অনুাযায়ী, দিনে বিশেষ করে সকালে পড়াশোনা করা সবথেকে ভালো। কারণ, ঘুম থেকে ওঠার পর মানুষের শরীরের এনার্জি লেভেল হাই থাকে। তাই লেখাপড়ায় মনোযোগ দেওয়া সহজ হয়। একনিষ্ঠভাবে পড়াশোনা করা যায়।
আরও পড়ুন : উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম ১০-এ কারা, তাদের প্রাপ্ত নম্বর কত, কোন জেলার? দেখুন পূর্ণাঙ্গ তালিকা
আবার গবেষকদের একাংশের মতে, সকাল ১০ টা থেকে ২ টা এবং বিকাল ৪ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত মস্তিষ্কের অধিগ্রহণ করার ক্ষমতা সব থেকে বেশি থাকে। তখন পড়াশোনা করলে সবথেকে বেশি মনে থাকে। আর লেখাপড়া সবথেকে কম কার্যকর হয় এর মাঝের সময়টাতে। আবার ভোর ৪টা থেকে সকাল ৭টা পড়াশোনার ক্ষেত্রে অন্যতম কার্যকরী সময়।
গবেষকদের মতে, নতুন কিছু শেখার বা পড়া মনে রাখার অন্যতম একটি বড় কৌশল হল ঠিক মতো ঘুমোনো। যদি দিনে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমোনো যায় তাহলে পড়া বেশি মনে থাকে। স্মৃতি একত্রিত করা যায়। আবার অনেকে এও মনে করেন, পড়ার পর সেটা লিখে ফেললে অনেক বেশি মনে থাকে।
আবার বিভিন্ন গবেষণাতে এও দেখা গেছে, কোনও ছাত্র বা ছাত্রী যদি নিজে থেকে নিজের পছন্দ মতো রুটিন বানিয়ে নেয় তাহলেও লেখাপড়া ভালো করতে পারে। তাই কোন সময় লেখাপড়া করা ভালো, সেটা পড়ুয়া নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারলে সবথেকে ভালো।