Advertisement

Sharanya Ghosh: শরণ্য হলেন শরণ্যা, পুরুষের শরীরে নারীর মন উচ্চ মাধ্যমিকের সপ্তম

পুরুষালি মেয়ে নাকি মেয়েলি পুরুষ? তাকে ঘিরে ছোট থেকেই প্রশ্ন উঠেছে অনেক। সমাজে কেউ বাঁকা চোখে তাকিয়েছে, কখনও বা পড়তে হয়েছে নানান সমালোচনার মুখে। উচ্চ মাধ্যমিকে মেধাতালিকায় সপ্তম স্থান অর্জন করে নতুন পরিচয় পেলেন হুগলির জনাইয়ের রূপান্তরকামী শরণ্যা ঘোষ।

উচ্চ মাধ্যমিকে সপ্তম শরণ্যা ঘোষ
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 25 May 2023,
  • अपडेटेड 12:27 PM IST
  • বুধবার উচ্চমাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ হয়
  • তার মধ্যে একজন হলেন কৃতি শরণ্যা
  • মেধাতালিকায় সপ্তম স্থান অর্জন করেন রূপান্তরকামী শরণ্যা ঘোষ

Transgender Sharanya Ghosh HS Result: পুরুষালি মেয়ে নাকি মেয়েলি পুরুষ? তাকে ঘিরে ছোট থেকেই প্রশ্ন উঠেছে অনেক। সমাজে কেউ বাঁকা চোখে তাকিয়েছে, কখনও বা পড়তে হয়েছে নানান সমালোচনার মুখে। উচ্চ মাধ্যমিকে (Higher Secondary) মেধাতালিকায় সপ্তম (Seventh) স্থান অর্জন করে নতুন পরিচয় পেলেন হুগলির (Hooghly) জনাইয়ের রূপান্তরকামী (Transgender) শরণ্যা ঘোষ (Sharanya Ghosh)। বুধবার উচ্চমাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ হয়। এবছর রাজ্যে ৮৭ জন মেধাতালিকার প্রথম দশে জায়গা করে নেন। তার মধ্যে একজন হলেন কৃতি শরণ্যা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৫০০-র মধ্যে ৪৯০। তার সাফল্যে খুশির জোয়ার পরিবার থেকে স্কুলে। তার প্রশংসায় মুখর নেটিজেনরাও। 

বাংলার ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথম উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কোনও রূপান্তরকামী মেধাতালিকায় স্থান অর্জন করেছেন। ১৮ বছর বয়সী স্মরণ্যার একাদশ থেকে দ্বাদশে কলাবিভাগে পড়াশোনা করেন। বাংলায় ৯৪, ইংরেজিতে ৯৫, অর্থনীতিতে ৯৭, ভূগোলে ৯৯, ইতিহাসে ১০০ এবং ঐচ্ছ্বিক বিষয়ে ৯৯ পেয়েছেন।

স্মরণ্যার বাবা প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও মা গৃহশিক্ষিকা। চন্ডীতলার জনাই ট্রেনিং হাইস্কুলের পড়ুয়া শরণ্যা ছোট থেকেই প্রথম হত স্কুলে। একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় বুঝতে পারেন আগামী জীবনটা নারী হিসাবেই বাঁচতে চান। সংবাদ মাধ্যমকে শরণ্য থেকে শরণ্যা হয়ে ওঠার যাত্রার কথা জানান। জানান, পুরুষ হলেও নারী সত্তা ছিল তার মধ্যে। স্কুলে মেয়েদের সঙ্গে খেলাধূলা করত সে। সহপাঠীরা অনেকে বাঁকা চোখে দেখত। একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় সে বুঝতে পারে পরবর্তী জীবনে নারী হিসাবেই বাঁচতে চান। তারপরই পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তরিত করেন নিজেকে। সে সময় পাশে ছিল পরিবার এবং স্কুলও। 

ভবিষ্যতে সরকারি আমলা হয়ে বা অধ্যাপক হতে চান এই অনন্যা। তার আরও ইচ্ছে রূপান্তরকামীদের পাশে থাকার, তাদের জন্য কাজ করার। 

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement