UGC বা University Grant Commission: উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতি-সম্প্রদায়ের বিভাজন ঠেকাতে আরও তৎপর হল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি আয়োগ (UGC বা University Grant Commission)। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে এ ব্য়াপারে আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে তারা। অভিযোগ জানানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে।
আগেও বলা হয়েছে
সোমবার এক নির্দেশিকায় ইউজিসি (UGC বা University Grant Commission)জানিয়েছে, এর আগেও এ ব্যাপারে তারা তৎপর হয়েছিল। উচ্চ শিক্ষায় জাতি বা সম্প্রদায়ের বিভাজন আটকাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। আর তারপরই ইউজিসি (UGC) এই ব্যবস্থাগুলো নিল।
এদিন সে কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়। তারা একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি কে কী করেছে, তা-ও জানানোর জন্য বলেছে। ইউজিসি (UGC)-র সচিব রজনীশ জৈনের সই রয়েছে সে চিঠিতে।
কী কী নির্দেশ দিয়েছে?
ইউজিসি (UGC) বলেছে, তপশীলী জাতি-উপজাতি সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা যাতে নিজেদের অভিযোগ জানাতে পারেন, সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ-উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে আলাদা পেজ থাকতে হবে। এর পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা রেজিস্ট্রারের কাছেও অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে। অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
বলা হয়েছে, তপশীলী জাতি-উপজাতি সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের ওপর কোনও বিভেদমূলক কাজ থেকে অফিসার, ফ্যাকাল্টি সদস্যদের বিরত থাকা দরকার।
উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে তাদের কোনও অফিসার বা ফ্যাকাল্টি বিভেদমূলক কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত নন।
অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা
কোনও পড়ুয়া, শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী অভিযোগ করলে তা খতিয়ে দেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি তৈরি করতে পারে।
ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য
ইউজিসি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলেছে, সেখানকার আধিকারিক, ফ্যাকাল্টিদের এ ব্য়াপারে আরও দায়িত্ব নিতে হবে। বিভাজনের কোনও অভিযোগ উঠলে তা সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার।
ইউজিসি-কে জানান
শুধু নির্দেশিকা দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি তারা। চলতি শিক্ষাবর্ষে কী কী করা হয়েছে, তা জানানোর কথা বলা হয়েছে। ইউজিসি (UGC)-র ওয়েবসাইটে তাড়াতাড়ি সে ব্য়াপারে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশিকা যাতে বিশ্ববিদ্যালয় জলদি সব কলেজকে পাঠিয়ে দেয়, সে ব্য়াপারে বলা হয়েছে।